ধর্ষণের পর প্রথমে বড় বোনকে, পরে ছোট বোনকে হত্যা করা হয়

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:

প্রথমে শারীরিক সম্পর্ক করার পর অন্য ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমাইয়া আক্তার মীমকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে প্রেমিক রিফাত। পরে তার কাছে চাচাতো বোন জান্নাতুল মাওয়া আপু কোথায় জানতে চাইলে তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় রিফাত।

রংপুর মহানগরীর মধ্য গণেশপুরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে দাবি করে আজ রাত সাড়ে আটটায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ আবু মারুফ হোসেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে রিফাতের সাথে সম্পর্ক ছিল মীমের। বৃহস্পতিবার চাচার বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে ছোট বোনকে ম্যানেজ করে মীম রিফাতকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। তারা নিজেরা সমঝোতার মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে মীম অন্য আরেকটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এমন সন্দেহ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মীমকে রিফাত হত্যা করে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ পর তার চাচাত বোন জান্নাতুল মাওয়া ঘরে এসে রিফাতের কাছে জানতে চায় আপা কোথায়। কথা বলা মাত্রই রিফাত জান্নাতুল মাওয়া কেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মেঝেতে ফেলে রেখে দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে বেশ কিছু ঠিঠি, ডায়েরি, এবং কয়েকটি সিম উদ্ধার করা হয়েছে। রিফাতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য মিলেছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর পৌনে দুইটায় শয়নকক্ষ থেকে পরীর মুলাটোল আলিয়া মাদরাসার দাখিল ফলপ্রার্থী সুমাইয়া আক্তার মীমের ঝুলন্ত এবং মেঝেতে পড়ে থাকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply