মাহমুদুল হাসান, মুন্সিগঞ্জঃ
মুন্সিগঞ্জে মাদক ব্যাবসায় বাঁধা প্রদান করায় অটোরিকশা চালকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে চিহ্নিত মাদক সম্রাট মহসীন ও সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর তার দলবল নিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ রিকশা চালক মোঃ জনির ওপর আতর্কিত হামলা করে। গুরুতর আহত জনিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, মুন্সিগঞ্জ সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নে চিহ্নিত মাদক সম্রাট মহসীন ও তার ভাই জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যাবসা চালিয়ে আসছে। জাহাঙ্গীরের সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কিন্তু গত কয়েকমাস যাবৎ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ জনির বাড়ির আশপাশে মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিল মহসীন সিন্ডিকেট। এ ব্যাপারে জনি কয়েক বার বাঁধা প্রদান করে ও এলাকার ব্যক্তিবর্গের কাছে বিষয়টি জানায়। কিন্ত জাহাঙ্গীর উল্টো তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে থামানোর চেষ্টা করে। পরে গতকাল সন্ধ্যায় মহসীন জনিকে ফোন করে বাসা থেকে বের হতে বলে। জনি বাসা থেকে বের হওয়া মাত্র মহসীন ও জাহাঙ্গীর তার দলবল নিয়ে হামলা করে। এ সময় এলাকাবাসী ও জনির পরিবার বাসা থেকে বের হয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জনির মাথায় চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। এছাড়া, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর জনির পরিবার থানায় গেলে ওই ক্ষোভ থেকে রাত ১২টার দিকে জাহাঙ্গীর তার লোকজন নিয়ে জনির বাড়ির সামেন কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
মাদকের বিয়ষটি সম্পর্কে অবগত থাকার কথা জানিয়ে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ স্বপন জানান, হামলার ঘটনা তিনি শুনেছেন, কিন্তু সামনে ছিলেন না। তবে, এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে দীর্ঘদিন যাবৎ অবগত থাকলেও কেন ব্যবস্থা নেন নি? এমন প্রশ্নে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
এলাকাবাসী জানায়, মহসীনের নামে ইতোপূর্বে মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এছাড়া তার ভাই জাহাঙ্গীরের নামেও মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের একাধিক মামলা আছে।
আহত জনির স্ত্রী জানায়, তারা এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করতে বলে। তবে পুলিশ তদন্তে আসলেও কোন মামলা হয়নি।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মোমেন পিপিএম এর সাথে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
Leave a reply