কুয়াকাটায় হোটেল থেকে ২ পর্যটকের লাশ উদ্ধার

|

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

কুয়াকাটায় দু’টি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ।

সোমবার দুপুর ২টায় আল্লার দান নামের আবাসিক হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষ থেকে মানিক মিয়া এবং বিকাল ৫টায় সাউথ বাংলা নামের আরেকটি আবাসিক হোটেলের ১১২ নম্বর কক্ষ থেকে সৌরভ জামিল সোহাগের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এদের মধ্যে খুলনার বিএল কলেজ সংলগ্ন এলাকার সোহাগকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান। অন্যজন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সনুয়া গ্রামের মানিক মিয়ার মৃত্যু উদঘাটনের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দু’টি পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাদ দিয়ে মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে আল্লার দান নামের ওই আবাসিক হোটেলের ২০৪ নম্বর রুম বুক করে মানিক। সকালে ডাকা ডাকির পর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।

ট্যুরিষ্ট পুলিশ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে থানা পুলিশ এসে হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙ্গে খাটের পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় মানিকের লাশ দেখতে পায়। তবে হোটেলে থাকা রেজিস্টারে দেখা গেছে নিহত মানিকের সাথে লিটন নামে আরও এক ব্যক্তি ওই কক্ষে অবস্থান করছিল। সকাল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মৃত মানিকের ছোট ভাই আ. রহিম জানান, মানিক এফবি আল্লার দান ট্রলারের মাঝি ও মালিক। ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় সমুদ্র মাছ শিকার শেষে ট্রলার নিয়ে মৎস্যবন্দর মহিপুর ঘাটে আসে। জলিল ঘরামীর মালিকানাধীণ বিসমিল্লাহ মৎস্য আড়তে মাছ বিক্রি করে রাত্রী যাপনের জন্য আল্লার দান হোটেলে ওঠে।

সোমবার দুপুরে মৃত্যুর খবর জানা যায়। নিহত মানিক চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার সনুয়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র।

ওসি আরও জানান, বিকাল পাঁচটার দিকে আবাসিক হোটেল সাউথ বাংলার ম্যানেজারের সংবাদ পেয়ে ১১২ নম্বর কক্ষ থেকে সোহাগের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত সোহাগ তার বন্ধু টুকুকে নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে চড়ে রবিবার ভোর ৫টা ৪৫মিনিটের সময় ওই হোটেলে আসেন এবং পরে ওই কক্ষে প্রবেশ করেন।

সোমবার বিকাল ৫টার দিকে হোটেলবয় রুমের দরজা খোলা দেখে খাটের পাশে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দুই জন মৃত ব্যক্তির সাথে অপর দুইজন ব্যক্তি হোটেল কক্ষে ছিল। তাদেরকে খোঁজা হচ্ছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply