পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরসহ ৭ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জদুর রহমান। তিনি বলেন, তারা রাস্তা আটকিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকলে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। পরে তারা পুলিশের উপর হামলা করলে নুর সহ ৭ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
রমনার ডিসি আরও জানান, তারা মশাল মিছিল করে। জঙ্গী মিছিলের মতো করে মিছিল করছিল রাস্তা বন্ধ করে। মূল রাস্তা দখল করায় যানজট সৃষ্টি হয়। তারা একদফা রাস্তা ছাড়ার পর আমরা পুনরায় রাস্তা দখল না করার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা তা অমান্য করে পুনরায় রাস্তা দখল করে। সে সময় নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ৭ থেকে ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরপর তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
নুরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। তাদের সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে নাকি গাড়ি ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ ও পুলিশের ওপর হামলায় মামলা হবে কিনা সেটা পরে সিনিয়রদের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে হেফাজতে নিয়েছি।
এর আগে, সন্ধ্যায় নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদ। সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।
এসময় তারা দাবি করে, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তারা।
নুর বলেন, ছাত্রলীগের প্ররোচনায় এক ছাত্রী মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করেছে। এই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে থামানো যাবে না বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি। বলেন, যত মামলা হামলা হোক না কেন অধিকার আদায়ে রাজপথ ছাড়বো না।
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় নুরসহ মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, নুরুল হক নুর, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি করেছেন। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ রোডের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থী।
Leave a reply