স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর :
মাদারীপুরে এক শ্রবণ প্রতিবন্ধীর গর্ভের সন্তানের পিতার স্বীকৃতির দাবিতে করা একটি মামলায় আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই আদেশ দেন। মাদারীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিংহ ও বাদিপক্ষের আইনজীবীরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ কানাইপুর গ্রামের ইয়াসিন হাওলাদারের ছেলে শামসুল হক হাওলাদার একই উপজেলার গদাধরদী গ্রামের অজুফা বিবির শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়ে হাওয়া বেগমের প্রতি কুদৃষ্টি পড়লে মিথ্যা বিয়ের কাগজপত্র তৈরি করে স্বামী স্ত্রী হিসেবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এতে হাওয়া বিবি গর্ভবতী হয়ে পড়লে শামসুল হক হাওলাদার তাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেয় না। পরে বিজ্ঞ আদালতে ১৯৯৯ সালের ২৮ অক্টোবর তারিখে হাওয়া বেগমের মা অজুফা বিবি তার শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়ের গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি ও তার মেয়েকে স্ত্রীর দাবিতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে কালকিনি থানার এসআই মো. ওয়াদুদ ওই বছরেরই ১৮ নভেম্বর তারিখে ঘটনার সত্যতা পেয়ে চার্জশিট জমা দেন।
মাদারীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিংহ জানিয়েছেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন ছিল। মামলার আসামি শামসুল হক মামলাটি দীর্ঘায়িত করার জন্য নানা ধরনের চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেছেন। জরিমানার টাকা বাদি অজুফা বিবিকে ৫ লাখ ও ভুক্তভোগী হাওয়া বিবিকে ৫ লাখ টাকা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইউএইচ/
Leave a reply