আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বিপর্যস্ত খাত হিসেবে অনিশ্চয়তার সামনে দাঁড়িয়ে এ বছর পালিত হচ্ছে দিবসটি। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘পর্যটন ও গ্রামীণ উন্নয়ন’।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটলে ১৯৭০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন সংস্থা গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করে জাতিসংঘ। তবে সংস্থাটি পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করে ১৯৭৪ সালে। সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে ১৯৮০ সালে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’কে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। একই সাথে বিশ্ব দরবারে দেশের পর্যটন শিল্পকে কার্যকরভাবে তুলে ধরার উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশের অন্যতম এজেন্ডা ‘গ্রাম হবে শহর’ যা এ বছর জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত প্রতিপাদ্যের সাথে অত্যন্ত সংগতিপূর্ণ। পর্যটন বিশ্বে শ্রমঘন এবং সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত।
Leave a reply