সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সন্ধ্যায় মাহবুবে আলম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার পরে পৃথক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ শোক প্রকাশ করেন।
এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, দেশের আইন অঙ্গনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলমের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি একজন প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক আইনী বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রেখেছেন এবং সবসময় ন্যায়নিষ্ঠ থেকে আইনপেশায় নিয়োজিত ছিলেন যা অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়া মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল কালাম আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ডা. বশির উল্লাহ, সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খানসহ আরও অনেকে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অ্যাটর্নি জেনারেল শরীরে জ্বর অনুভব করেন। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর সকালে করোনা টেস্ট করালে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। সেদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল- সিএমএইচে ভর্তি হন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে ২০ সেপ্টেম্বর তার করোনামুক্তি ঘটার কথা জানায় পরিবার।
সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
Leave a reply