অনেক কষ্ট করে ওজন কমানোর পর আবার একটু মোটা হলে হতাশার শেষ থাকে না। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন ধরে রাখা যেন একধরনের চ্যালেঞ্জ। তাই একবার স্লিম হওয়ার পর সেই ওজন ধরে রাখার জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। আসুন দেখে নেই কীভাবে থাকবেন স্লিম এবং ফিট।
* অস্বাস্থ্যকর খাবার কম হলেও খাবেন না:
অনেকেই মনে করেন ওজন বেড়ে যাবে এমন খাবার অল্প খেলে কিছুই হবে না। কিন্তু আসলে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিমাণে কম খেলেও তা খাওয়া ঠিক না। আবার অনেকেই কয়েক মাসের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বেছে নেন ওজন কমানোর জন্য। পড়ে সেটি ছেড়ে দিলেই ওজন যায় বেড়ে। তাই ওজন কমানো ও ধরে রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার ও জীবনযাপন বেছে নিতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণ রান্না ও কাঁচা শাকসবজি ও ফলমূল খান, পানি পান করুন। এদিকে তেলে ভাঁজা, মিষ্টি খাবার বাদ দিন।
* হুট করে বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হবেন না:
মাসখানিক ধরে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অভ্যস্ত আপনি দাওয়াতে যেয়ে একগাদা খেয়ে ফেললেন। ফলাফল হিসেবে ওজন যদি বেড়ে যায় তাহলে হতাশ হবেন না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না সবসময়। এটি স্বাভাবিক ঘটনা। এভাবে কখনও হুট করে বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ না হয়ে পরিদিন কিছুটা সময় বেশি হাঁটুন। মূল কথা হল, একে স্বাভাবিকভাবে নিন ও আগের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।
* ভালো ও মন্দ ওজনের পার্থক্য বুঝতে হবে:
আধুনিক সমাজে গ্রহণযোগ্যতা পেতে কমবেশি সবাই শুকনা-পাতলা থাকতে চাই। সামান্য ওজন বেড়ে গেলেও চিন্তায় পড়ে যাই আমরা। কিন্তু ওজন বাড়া মানেই কিন্তু তা ক্ষতিকর না। যেমন, ব্যায়াম করতে শুরু করার পর অনেকের ওজন সামান্য বেড়ে যেতে পারে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। এর কারণ, চর্বি ঝরে যাওয়া ও পেশি বৃদ্ধি পাওয়া।
* জরুরি পানি পান:
ওজন ধরে রাখতে চাইলে পানি পান করার বিকল্প নাই। চা-কফি বা শরবত নয়, শুধুই পানি। চিনি ও ক্যাফেইন মুক্ত সাদা পানি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এটি আমাদের শরীরে পানির ব্যালেন্স ধরে রাখার পাশাপাশি বিপাকের গতি বাড়িয়ে ওজন কম রাখতে সাহায্য করে।
* ওজন না কমলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন:
অনেকসময় থাইরয়েড, পিসিওএস ধরনের অসুখের জন্য ওজন কমে না অনেকের। তাই অনেক চেষ্টা করার পরেও যদি ওজন না কমতে চায় তাহলে একজন চিকিৎসক দেখান। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদ দেখিয়ে খাদ্যাভ্যাস ঠিক করে নিন।
* হাবিজাবি খাবার ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ:
অনেকসময়ই মন খারাপ, দুশ্চিন্তা বা নানাকারণে আমরা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলি। যদি ওজন কম রাখতে চান বা নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখতে চান, তাহলে এভাবে হুটাহাট ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
* প্রতিদিন ব্যায়াম:
ওজন কমাতে চান আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে, প্রতিদিন ব্যায়ামের বিকল্প নাই। এটি আমাদের শরীর ও মন দুইয়ের জন্যই ভালো।
* চিনি বাদ দেওয়া:
চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে পুরোপুরি। আর যদি খেয়েও ফেলেন, চেষ্টা করুন অধিক পরিশ্রম করে সেই ক্যালরি ঝরিয়ে ফেলতে। আজকাল বাজারে চিনির অনেক বিকল্প মেলে, সেগুলো ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করলে মিষ্টি ফল খেতে পারেন।
* বিশ্রামও জরুরি:
আমরা যেমন জানি ওজন কমানোর বা ধরে রাখার জন্য ব্যায়াম জরুরি একইসঙ্গে পর্যাপ্ত বিশ্রামও কিন্তু জরুরি। এটি শারীরিক ও মানসিক উভয় সুস্থতার জন্যই জরুরি। প্রতিদিন খাবারদাবার ঠিক রাখার পাশাপাশি রাতে নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতেও হবে। এতে আমাদের শারীরিক সাইকেল ঠিক থাকবে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
Leave a reply