বগুড়া ব্যুরো
বন্ধু মিনহাজ হোসেনকে খুনের পর ছিনতাইয়ের নাটক সাজাতে নিজেই ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন দিয়েছিলো বগুড়ার ধুনট উপজেলার ফজলে রাব্বী। পুলিশকে জানিয়েছিলো, ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে মিনহাজকেসহ তার অটোরিকশা নিয়ে গেছে। পুলিশ তদন্তে নেমে নিশ্চিত হয় নিজেই খুন করে ছিনতাইয়ের নাটক সাজাতে পুলিশকে ফোন দিয়েছিলো রাব্বী। বৃহস্পতিবার তার দেয়া তথ্যমাফিক শেরপুর উপজেলার একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অটোরিকশা চালক মিনহাজের মরদেহ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, গেলো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে রাব্বী জানায়, মিনহাজের অটোরিকশায় যাবার সময় তারা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলো। সে পালিয়ে এলেও ছিনতাইকারীরা অটোরিকশাসহ মিনহাজকে নিয়ে গেছে।
ঘটনা জানার পর রাব্বীকে সাথে নিয়ে তদন্তে নামে শেরপুর থানা পুলিশ। কথা এবং আচরণে অসংলগ্নতা দেখা গেলে বুধবার রাব্বীকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে, পূর্ব বিরোধের জের আর অটোরিকশা ছিনতাই করতে নিজেই মিনহাজকে খুন করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাব্বীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী শেরপুর উপজেলার জোড়গাছা এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে পুলিশ অটোরিকশা চালক মিনহাজের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাব্বী পুলিশকে জানিয়েছে, কিছুদিন আগে এক নারীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ ছবি ধারণ করে মিনহাজ। এরপর তা ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিলো সে। তাই মঙ্গলবার বিকেলে কোমল পানীয়ের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে প্রথমে অচেতন করে মিনহাজকে। এরপর ধানক্ষেতের ভেতরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় অটোরিকশাটি বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে সে। পরে ট্রিপল নাইনে ফোন করে ছিনতাইয়ের ঘটনা সাজানোর চেষ্টা করে।
Leave a reply