ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ১

|

নিহত ইশান ও মনির।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলায় দুই যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহত ইশানের চাচা উপজেলার লালপুর লামাবায়েক গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল্লাহ বাদি হয়ে দুই যুবক হত্যার মামলা দায়ের করেন। ২১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা রজ্জু করা হয়।

এই ঘটনায় দুধ মিয়া (৫০) নামে একজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি লামাবায়েক গ্রামের মৃত ইসমাইল মিয়ার ছেলে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ হারায় আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর লামাবায়েক গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইশান (২২) ও একই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন (২৪)।

এর আগের দিন সোমবার রাতে চায়ের দোকানের আড্ডায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে এক পক্ষ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দেশীয় অস্ত্র দা-বল্লম নিয়ে হামলা চালায়।

এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় বাচ্চু মিয়ার বাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে ইশান ঘটনাস্থলেই নিহত হন। একই বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়।

নিহতদের মধ্যে ইশান বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিল। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সে বাড়িতে অবস্থান করছিল।

মনির হোসেন ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করত। বিশদিন আগে সে কাবিন বিয়ে করেছিল। ঘরে নতুন বউ উঠানোর প্রস্ততি নিতে তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিল।

এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply