করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে দেশের তরুণ সমাজের বড় একটি অংশ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র বলছে, বাংলাদশের প্রায় ২৫ শতাংশ তরুণ এখন বেকার। উদ্যোক্তোরা বলছেন, কাজের সুযোগ তৈরি হতে আরও প্রায় এক বছর সময় লাগবে। সেই পর্যন্ত দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্বনিয়োজিত কাজে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
করোনা মহামারিতে দীর্ঘ হচ্ছে বেকারের সারি। কমেছে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা- আইএলও বলছে, বাংলাদেশি তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। করোনার আগে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি তরুণদের মধ্যে প্রতি ১০০ জনে বেকার ছিল ১২ জন। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৫ জন। আইএলও প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, করোনায় কারণে ৬ মাসে বেকার হয়েছেন ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ। গেলো বছরে, যা ছিল ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।
৩৫ টি খাতের মধ্যে ৭ টি খাতে বেশি কাজ হারিয়েছেন তরুণরা। খুচরা ব্যবসা, হোটেল-রেস্তোরা, অভ্যন্তরীণ পরিবহন, বস্ত্র, নির্মাণ খাতে কাজ হারানো তরুনের সংখ্যা বেশি। কবে নাগাদ কাজে ফিরতে পারেবেন, বেকার তরুণরা, তাও তারা জানেন না।
সহসাই কাজের সুযোগ তৈরি হওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী নন উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে গতি ফিরছে। কিন্তু আগের অবস্থায় ফিরে আসতে, ৬ মাস থেকে এক বছর সময় লাগবে। তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছেন, তারা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, স্বনিয়োজিত কাজের প্রতি উৎসাহ দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তহবিল যোগানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজন সরকারের নীতি সহায়তা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশে প্রতিবছর গড়ে ১৮ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে আসেন। এর মধ্যে ৭ লাখ বিদেশে চলে যান। বাকিদের দেশেই কর্মসংস্থান হয়। কিন্তু করোনার কারণে দেশ থেকে শ্রমিকরা ফিরে আসায় বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে।
Leave a reply