পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
চাঁদাবাজ ও কথিত সাংবাদিক নামধারী কাইয়ুম আহমেদ জুয়েলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সেক্রেটারিসহ চারজন সাংবাদিক সদর থানায় পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। গত রবি ও সোমবার রাতে সদর থানায় একই ঘটনায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) তিনটি দায়ের করা হয়। ডায়রি নং ৫৪৯ ও ৫৭২ এবং ৫৮৯।
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজল বরণ দাস (এনটিভি), সাবেক সেক্রেটারি মোঃ জাফর খান (দৈনিক যুগান্তর), সঞ্জয় কুমার দাস (বাংলাদেশ প্রতিদিন) এবং মনির হোসেন বাদল (সময় টিভি) সাধারণ ডায়রিতে উল্লেখ করেছেন যে, পটুয়াখালী জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের সুনামে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল কথিত সাংবাদিক সেজে জেলার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে আসছে। এ মর্মে ইতিমধ্যে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে। কথিত সাংবাদিক নামধারী জনৈক কাইয়ুম আহমেদ জুয়েল অপ-সাংবাদিকতার ধারাবাহিকতায় চাঁদাবাজি করে আসছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে একটি অডিও বার্তা পোস্ট করা হয়েছে। অডিওটিতে শোনা যাচ্ছে যে, কয়েক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে মোবাইল ফোনে কথোপকথনে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কথা বলছে। সেখানে সাংবাদিক নামধারী জনৈক জুয়েল সাংবাদিকতা পরিপন্থী কথাবার্তা বলে এবং কথোপকথনের এক পর্যায়ে “যুগান্তরের জাফর, কাজল, লিটু ও সময় টিভির মনির” তাদের সামনে আছে মর্মে এ নামগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত কথোপকথন এবং উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে ওই চারজন সাংবাদিকের কিছুই জানা নাই। উল্লেখিত বিষয়ে তাদের ডাক নাম জড়ানো তাদের দীর্ঘদিনের পেশাদারিত্বের সুনাম এবং সমাজে তাদের মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে তারা মনে করেন। তাই এর সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীর পাশাপাশি ভবিষ্যতে তাদের নাম ব্যবহার করে অপ কার্যক্রম থেকে ভবিষ্যতের জন্য রেহাই পেতে সাধারণ ডায়রি করেছেন বলে তারা উল্লেখ করেছেন।
জানতে চাইলে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, সাধারণ ডায়রিগুলো তদন্তের অনুমোদনের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেই অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
Leave a reply