অফিসে কিংবা বাড়িতে, মাথাব্যথার মোকাবিলা করা সহজ কাজ না। বেশিরভাগ সময় আমরা মাথাব্যাথাকে গুরুত্ব দিই না। মনে করি, এক কাপ কফি অথবা কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে দিলে মাথা ব্যাথা আর থাকবে না। তবে আয়ুর্বেদ পদ্ধতিতে অনেক প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকারের উল্লেখ আছে যা মাথা ব্যাথা কমাতে কার্যকর।
ভারতীয় আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. ধনভান্ত্রী ত্যাগীর মতে, মাথাব্যথা নিরাময় করার সবচেয়ে ভালো প্রতিকার হলো একটি সুস্থ মাথার ম্যাসেজ। ডিহাইড্রেশন হলো পিত্ত টাইপের মাথাব্যথাগুলির অন্যতম কারণ। মাথাব্যাথা দূর করার জন্য পানি ও স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করুন। মাঝেমধ্যে ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশির সঙ্গে মাথা ব্যাথা হয়। এই সময়ে ভেষজ তেল বা ঘি নাকের স্বাভাবিক বায়ু চলাচলে অত্যন্ত সাহায্য করে। আসুন জেনে নেই মাথাব্যথা কমানোর ভেষজ ঔষধ-
* চন্দন: কপালের ওপর চন্দন বা চন্দন কাঠের পেস্ট প্রয়োগ করলে মাথাব্যথা নিরাময় হয়। চন্দন গুঁড়া আধা চা চামচ নিন এবং এতে কিছুটা পানিতে মেশান। মিশ্রণটি কপালে প্রয়োগ করুন এবং এটি অন্তত ২০ মিনিট রাখুন।
* ব্রাহ্মী: এটি স্ট্রেস ও বিষণ্নতা কমানোর জন্য পরিচিত। ব্রাহ্মীর রসের কয়েকটি ড্রপ এবং ঘি নাকের মধ্যে রাখলে মাথাব্যথা কমাতে পারে। ব্রাহ্মী তেল মাথায় ম্যাসাজ করা অত্যন্ত উপকারী।
* ছোট এলাচ: সামান্য ছোট এলাচ চিবিয়ে মাথা যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
* রক সল্ট: মাঝেমধ্যে সাধারণ লবণের পরিবর্তে রক সল্ট ব্যবহার করে মাথা যন্ত্রণার প্রতিকার করা হয়। উষ্ণ গরম পানিতে এক চিমটে রক সল্ট মিশিয়ে পান করলে বিভিন্ন ধরণের মাথা যন্ত্রণার থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
* টগর: টগর একটি লোমশ বহুবর্ষজীবি ঔষধি। যা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার করা হয়। আপনি ম্যাসেজের জন্য ঔষধযুক্ত তেল ব্যবহার করতে পারেন, অথবা চায়ের মধ্যে সামান্য পরিমাণ মেশাতে পারেন।
Leave a reply