চরের সীমানা নিয়ে জটিলতা; ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০

|

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরওহাব নামের একটি চরের জমির ধান কাটা নিয়ে কৃষকদের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই চরের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে পাশের জেলা ভোলার সাথে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আইনি জটিলতা রয়েছে। কিন্তু আজও কোন সমাধান হয়নি। ফলে ভোলা জেলার একদল লাঠিয়াল বাহিনী প্রতি বছর এসব চরাঞ্চল থেকে জোর পূর্বক জমির ধান লুট করে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরওহাব গ্রামের সীমানা নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আদালতে মামলা চলছে। মামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পটুয়াখালীর স্থানীয় কৃষকরা ওই জমি ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু বুধবার সকালে আচমকা ভোলা জেলার চর ফ্যাশন উপজেলার মুজিব নগর ইউনিয়নের আলমগীর ডাক্তার ও রব মাঝির নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন লাঠিয়াল সেখানে ধান কাটতে হাজির হয়। এ সময় চর বিশ্বাস ইউনিয়নের কৃষক কাশেম মৃধা বাঁধা দিলে প্রথমে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কাশেমকে মারধর করে। পরে পটুয়াখালীর স্থানীয়রা একত্রিত হলে ভোলা থেকে আগত লাঠিয়ালদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়।

তাদের মধ্যে কাশেম মৃধা (৪৫), সবুজ মৃধা (২১), বাবুল হাওলাদার (৪২), সোলেমান মৃধা (২৮) এর নাম জানা গেছে। এদের সকলের বাড়ি গলাচিপার চরওহাব গ্রামে। বাকীদের পরিচয় জানা যায়নি।

চরবিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সি জানান, প্রতি বছরই ধানের মৌসুমে ভোলার লাঠিয়ালরা তাদের এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসল লুট করে নিয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এ ঘটনা বলে দাবি করেন তিনি।

জানতে চাইলে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন জানান, লোকমুখে সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। আমরাও খোজ নেয়ার চেষ্টা করছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply