আমাদের সারাদিন যেমনই যাক সকালে একটু ভিন্নভাবেই শুরু করলে দিনটাও কাটে আরামেই। আর সেজন্য অবশ্যই সকালের খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই এমন কিছু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে যা আমাদের সারাদিন সুস্থ রাখার পাশাপাশি চাঙ্গাও রাখবে। তবে এমন খাবার থেকে বিরত থাকবেন যা আপনার শরীরকে সারাদিনের জন্য দুর্বল করে ফেলে। আসুন জেনে নেই সকালে কী খাবেন আর কী খাবেন না।
সকালে যা খাবেন-
* সকালের নাশতায় ডিম প্রতিদিনের পর্যাপ্ত ক্যালরি গ্রহণ নিশ্চিত করে।
* নাশতায় বাদাম থাকলে আপনার পরিপাক প্রক্রিয়া ভালো করে। এছাড়া পরিপাকতন্ত্রের পিএইচের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
* মধু আপনার মন ও শরীর সতেজ করে তুলতে সহায়তা করে। খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়াও শক্তিশালী করে। মস্তিষ্কের কাজ করে ত্বরান্বিত।
* খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়ার ফলে শরীর থেকে টক্সিন ও ভারী সিসা দূর করে দেয়। খাবার পরে পরিতৃপ্ত ভাবও আনে।
* ২ টেবিল চামচ গমে ১৫ শতাংশ ভিটামিন ‘ই’ এবং ১০ শতাংশ ফলিক অ্যাসিড থাকে। এছাড়া হজম প্রক্রিয়ার কাজটি সহজ করে তোলে।
* ওটমিল পাকস্থলীর চারপাশে একটি সুরক্ষা দেয়াল তুলে দেয়। এতে করে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড পাকস্থলীর দেয়ালের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। এছাড়া এতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে রাখে।
সকালে যা খাবেন না-
* লেবুজাতীয় খাবার খালি পেটে খেলে অম্বল বা গ্যাসট্রিক হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
* কাঁচা শাকসবজিতে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকে। বুকজ্বালা, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথার ঘটনাগুলো হতে পারে খালি পেটে শসা বা সবুজ শাকসবজি খেলে।
* টমেটোতে উচ্চমাত্রায় টনিক অ্যাসিড থাকে। এটি পেটে অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দিতে পারে। পরবর্তী সময়ে এর কারণে গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসার পর্যন্তও গড়াতে পারে।
* সকাল সকাল খালি পেটে কোমল পানীয় খেলে খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়।
* খালি পেটে মিষ্টি খাবার খেলে ঝামেলা হতে পারে। মিষ্টিজাতীয় খাবার ইনসুলিনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়; যা পরবর্তী সময়ে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
* খালি পেটে ইস্ট আছে, এমন খাবার খেলে পেট ফেঁপে যায়। জ্বালাপোড়াও করতে পারে।
* বেশি মসলাজাতীয় খাবার পেটে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া খাবার হজমেও বাধা সৃষ্টি করে।
Leave a reply