কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পারিবারিক কলহের জেরে চাচাতো দুই বোনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বিকেলে নিহতদের নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া কামারপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের মেয়ে মুক্তা খাতুন (১৫) ও তার চাচাতো বোন মুন্তাজ আলীর মেয়ে দুই সন্তানের জননী রুমা খাতুন (৩০)। নিহত মুক্তা খাতুন পার্শ্ববর্তী বড়গাংদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য সাদ আহম্মদ জানান, আজ দুপুর ৩টার দিকে মোয়াজ্জেম হোসেনের মেয়ে মুক্তার সাথে তার আপন চাচাতো বোন মুন্তাজের মেয়ে রুমার কথা কাটাকাটি হয়। এর সূত্র ধরে মুক্তা গলাই রশি নিয়ে আত্মহত্যা করে। মুক্তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুক্তার মৃত্যুর সংবাদ বাড়িতে পৌঁছালে রুমা খাতুনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে তার ভাই রুবেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
তিনি বলেন, নিহত মুক্ত খাতুন তার মামাতো বোনকে ধর্ষণ মামলায় সহায়তাকারী হিসেবে এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন এবং রুমার শ্বশুরবাড়ি মিরপুর উপজেলার বীজনগরে বেশকিছুদিন পালিয়ে ছিলেন। স্থানীয়দের ধারণা ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়া নিয়ে মুক্তার পরিবারের সাথে তার চাচা ও চাচাতো ভাই বোনদের বিরোধ চলে আসছিলো। এনিয়ে আজ সকালে নিহত মুক্তাকে গালিগালাজ করে তার চাচাতো বোন রুমা।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, নিহতরা সম্পর্কে চাচাতো বোন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে আমরা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলছি। এখনও মামলা হয়নি। নিহত দুই বোনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ইউএইচ/
Leave a reply