পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশ মেরিন কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন পটুয়াখালী নৌ বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান।
শনিবার সকালে তিনি বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সাগর কুলবর্তী এলাকায় নৌযান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল বুধবার রাত থেকে। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অসাধু ব্যবসায়ীরা আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট চলাচল অব্যাহত রেখেছিল।
তিনি জানান, স্পিডবোটে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী উঠিয়ে প্রচন্ড ঢেউয়ের মধ্যে চলাচল করায় দূর্ঘটনা কবলিত হয়। তাছাড়া যাত্রীদের জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামাদি দিতেও ব্যর্থ ছিল বোট চালক। যে কারণে বোট পরিচালনাকারী এবং বোট চালক সমান অপরাধ করায় তাদেরকে আসামি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে আসামিদের গ্রেফতারের স্বার্থে এই মুহুর্তে তাদের নাম বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
নৌ বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর জানান, নজিরবিহীন শাস্তির আওতায় আনা হবে আসামিদের যা দেখে উপকুলীয় এলাকায় আর কেউ যেন এমন অপরাধ না করে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি পরিবারকে নগত ২০ হাজার টাকা এবং ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙ্গাবালীর কোড়ালিয়া ঘাট থেকে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত অর্থাৎ ১৮ জন যাত্রী নিয়ে পাশের উপজেলা গলাচিপার পানপট্টি ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে একটি স্পিডবোট। মাঝপথে খরস্রোতা আগুনমুখা নদীতে প্রচন্ড ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে বোটটির তলা ফেটে উল্টে যায়।
এর দেড় ঘণ্টা পর সাতরে ও মাছ ধরার ট্রলারে মোট ১৩ জন যাত্রী তীরে উঠতে পারলেও পাঁচজন যাত্রী নিখোঁজ ছিল। পরে বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পর আজ ভোরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
Leave a reply