বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ন্যুক্যাম্পে হয়ে গেলো বহুল প্রতীক্ষিত মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকো ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনা। ৩-১ গোলে বার্সাকে হারায় রিয়াল।
বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ন্যুক্যাম্পে ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটের মাথাতেই উত্তেজনার পারদ চরমে পৌঁছে দেন রিয়াল মাদ্রিদের ভালভার্দে। করিম বেনজেমার পাস থেকে বল পেয়ে চমৎকার নৈপুণ্য দেখিয়ে বার্সার রক্ষণভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে গোল করে লিড এনে দেন তিনি। ৯৯ হাজর দর্শকের গ্যালারি করোনার অভিশাপে খাঁ খাঁ করলেও টিভিসেটের সামনে বসে থাকা রিয়াল সমর্থকরা যে উল্লাসে ফেটে পড়ে তা সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায়।
তবে রিয়াল সমর্থকদের এই উল্লাস টিকেছিল মাত্র ৩ মিনিট। খেলার ৮ মিনিটের সময় চমৎকার অ্যাসিস্টে সমতায় ফেরান বার্সার ১৭ বছর বয়সী বিস্ময়বালক আনসু ফাতি। লেফট উইংয়ে বল ভেসে আসলে নাচোকে পেছনে ফেলে নিয়ন্ত্রণ নেন জর্দি আলবা। বক্সের মাঝ বরাবর ক্রস করে আনসু ফাতির পায়ে ঠেলে দেন। দ্রুত এগিয়ে আসা আনসু ফাতি পা ঠেকিয়ে সেটিকে রিয়ালের জালে জড়িয়ে দেন। আনসু ফাতির এই গোলে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করে বার্সেলোনা।
রিয়ালের বিপক্ষে ২৪৪টি ম্যাচে ৪০০ গোল পূরণ করলো বার্সেলোনা। বার্সার এই মাইলফলক আগেই ছুঁয়েছে রিয়াল। এখন পর্যন্ত ভালভার্দের গোলসহ বার্সেলোনার জালে ৪০৬ বার বল জড়িয়েছে রিয়াল।
১-১ স্কোরলাইনে উত্তেজনা নিয়ে খেলা এগিয়ে যেতে থাকে। এরইমধ্যে চলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। ৪৫ মিনিট খেলা শেষে আরও ২ মিনিট অতিরিক্ত যোগ করলেও আর গোলের দেখা পায়নি দুই দল। ফলে ১-১ সমতায় বিরতিতে গেছে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে পাল্টা আক্রমণে জডি আলবার ক্রস পায়ে নিতে পারেনি বার্সার ফরোয়ার্ড। ৫৩ মিনিটে মেসির পাসে ডি-বক্সে কুতিনহোর দিকে বল উড়িয়ে দেন আনসু ফাতি। তবে হেডে গোলের প্রচেষ্টা করলেও তা বারের বাইরে গিয়ে পড়ে।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে গিয়ে বার্সেলোনার ডিবক্সে ফাউলের অভিযোগ আনে রিয়াল মাদ্রিদ। ভিআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি আদায় করে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। সফল স্পটকিক থেকে গোল করেন সার্জিও রামোস। ২-১ এ এগিয়ে যায় জিনেদিনে জিদানের শিষ্যরা।
গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে কাতালানরা। রক্ষণের ৫ খেলোয়াড় উঠে আসে উপরের দিকে। রিয়ালকে চেপে ধরে মেসির দল। খেলার ৯ মিনিট বাকি থাকতে আনসু ফাতিকে উঠিয়ে আতোঁয়া গ্রিজম্যানকে নামান রোনাল্ড কোম্যান। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ম্যাচের ৮৩ ও ৮৫ মিনিটে নিশ্চিত দুটি গোল বাঁচান বার্সা গোলরক্ষক নেটো।
৮৮ মিনিটে দেম্বেলের একক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। উল্টো ৮৯ মিনিটের গিয়ে বদলি হিসেবে নামা লুকা মদরিচ বার্সা গোলরক্ষককে পরাস্ত করে লক্ষ্যভেদ করেন। ৩-১ স্কোরলাইনে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। মদরিচের এই গোলে রিয়ালের এই মৌসুমের এল ক্লাসিকো জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
খেলায় বল দখলে ও শটের সংখ্যা বার্সা থেকে এগিয়েছিল রিয়াল। গোলপোস্ট বরাবর বার্সার ৪ শটের বিপরীতে রিয়ালের শট ৯টি।
ইউএইচ/
Leave a reply