নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ঢাকা-৭ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এসময় বাসার ভেতর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র,মদ, বিয়ার ও ওয়াকিটকিসহ বিপুল পরিমান নিরাপত্তা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুর ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে চকবাজারের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাংসদপুত্র মোহাম্মদ এরফান সেলিমকে আটকের সময়ে বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ওইসব দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকবাজারের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের ওই বাড়ির চতুর্থ ও পঞ্চম তলাটি ডুপ্লেক্স সিস্টেমে নির্মাণ করা হয়েছে। ৪র্থ তলার উত্তর কর্ণারের রুমটিতে বসবাস করতেন এমপি পুত্র এরফান সেলিম।
তার রুমের তোশকের নিচে ম্যাগজিন ভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল পাওয়া গেছে। এছাড়া ৫ম তলায় পূর্ব পাশের কর্নারে ৫টি ওয়ারল্যাস এবিএস সিস্টেম ও ৪০টি ওয়াকিটকি সেট, একটি হ্যান্ডকাপ, একটি বন্দুক, বিদেশী মদের বোতল ও বিয়ার পাওয়া গেছে।
আটক এরফান মোহাম্মদ সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নোয়াখালী -৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীরর মেয়ের জামাতা।
উল্লেখ্য, গতরাতে ধানমন্ডির কলাবাগানে সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ল্যফটেন্যান্ট ওয়াসিম আহমেদ খানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপরই গাড়ি থেকে এরফান সেলিমসহ তার লোকজন নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন।
রাত সোয়া ১০ টার দিকে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল দুইই ধানমণ্ডি থানায় জব্দ করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
Leave a reply