ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে নানা ইস্যুতে বিতর্ক হলেও; সবচেয়ে আলোচিত- অভিবাসন। আইন কড়াকড়িতে রীতিমতো নির্বাহী আদেশ জারি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আসন্ন নির্বাচনেও অভিবাসী এবং শরণার্থী প্রবেশ ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প। ফলে, এটা স্পষ্ট যে পুননির্বাচিত হলে অভিবাসন ইস্যুতে আরও কঠিন হয়ে উঠবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি।
অভিবাসন ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে নির্মিত হয় দেয়াল। ফলে, গেলো ৪ বছরে শরণার্থী আশ্রয় কমার পাশাপাশি, হ্রাস পেয়েছে অভিবাসীর সংখ্যাও।
২০১৬ নির্বাচনের প্রচারণার সময়ই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিলো, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী এবং শরণার্থী প্রবেশে কড়াকড়ির। ক্ষমতায় এসে বাস্তবায়নও করেন সেই প্রতিশ্রুতি।
বিরোধী শিবিরের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচনা, কোনো কিছুই পারেনি, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে শরণার্থী-অভিবাসীদের ওপর কঠোর হওয়া ঠেকাতে। মেক্সিকো সীমান্তে নির্মান করেছেন দীর্ঘ দেয়াল। শরণার্থী আর অভিবাসন প্রত্যাশীদের ধরপাকড়, নিয়মিত ঘটনা।
পরিসংখ্যান বলছে, গেল তিন বছরই বেড়েছে সীমান্তে ধরপাকর। এরমধ্যে ২০১৭ সালে আটক করা হয় প্রায় ৩ লাখ মানুষকে। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় প্রায় তিনগুন।
ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বাসিন্দার ভিসা কমানো হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। ২০১৬ তে যেখানে এ সংখ্যা ছিলো ১২ লাখ, ২০১৯ এ তা দাড়িয়েছে ১০ লাখে। প্রায় ২ শতাংশ কমেছে শিক্ষার্থী ভিসা।
ফলে যুক্তরাষ্ট্রে কমছে শরণার্থীর সংখ্যা। ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের আমলে অনুমতি দেয়া হয় প্রায় ২ লাখ শরণার্থীকে। জর্জ বুশ জুনিয়রের সময়ে এসংখ্য দাড়ায় সবচেয়ে কম এ। তবে সেই রেকর্ডও ভেঙ্গে যায় ট্রাম্পের শাসনামলে। ২০১৯ সালে মাত্র ৩০ হাজার শরণার্থী আশ্রয় পায় যুক্তরাষ্ট্রে।
কমেছে মুসলিম শরণার্থী প্রবেশের অনুমতিও। ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থী প্রবেশে যেখানে ২০০৫ সালে যেখানে মোট শরণীর্থীর ৩৫ শতাশ ছিলো মুসলিম, সেখানে তা ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাড়ায় ৪৫ শতাংশে। অথচ ট্রাম্পের শাসনামলে তা কমতে কমতে ২০১৯ সালে প্রায় ২০ শতাংশে এসে ঠেকে।
Leave a reply