দেশের ব্যস্ত সড়কগুলোর মধ্যে অন্যমত রংপুর মহাসড়ক। এটিই রাজধানীর সঙ্গে উত্তরাঞ্চলবাসীর যোগাযোগের প্রধান সড়ক পথ। সড়কটির সক্ষমতা বাড়াতে পাঁচ বছর আগে ‘এলেঙ্গা-হাটিকমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেন প্রকল্প’ হাতে নেয় সরকার। তবে, বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্পটির সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পে মূল খরচ ছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা, প্রথম সংশোধনীতে চার হাজার ৭৬৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বেড়ে হলো ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এতে নানা ক্ষেত্রে আসবে পরিবর্তন। সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া, একনেক সভায় আরও দু’টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এরমধ্যে দুটি সংশোধিত এবং একটি নতুন প্রকল্প। শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রকল্পের সার্বিক বিষয় উপস্থাপন করেন।
সংশোধিত দুটিই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের। সেগুলো হলো, সোনাপুর (নোয়াখালী)-সোনাগাজী (ফেনী)-জোয়ারগঞ্জ (চট্টগ্রাম) সড়ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প। নতুন প্রকল্পটি হলো স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়নসহ সড়ক নিরাপত্তা’।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সড়ক নির্মাণের সময় পানি চলাচলের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পরিমাণে কালভার্ট-ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। যেন বিল, হাওর-বাঁওড় বাঁচিয়ে রাখা যায়। মামলার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বাঁধাগ্রস্ত হলে তা দ্রুত নিস্পত্তির তাগিদও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়ন করবে সরকার। এতে সড়কে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, এস্কেলেটর স্থাপনসহ সার্বিক উন্নয়নে ৩১৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। তবে, সিটি করপোরেশনগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ, শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a reply