নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার শূন্যচর বেড়িবাঁধের ওপরে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি ইব্রাহিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে আসামিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
বুধবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ সামস্উদ্দীন খালেদ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামী চট্টগ্রামে কাজ করার সুবাদে তিনি ২১ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে বেড়িবাঁধের ওপর তার ঘরে একা থাকতেন। তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই এলাকা শূন্যচরের আব্দুল হাইয়ের ছেলে ইব্রাহিম। গত ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে ইব্রাহিম ও তার বন্ধু আব্দুল হাসিম। ঘরে ঢুকে প্রথমে ইব্রাহিম জোরপূর্বক হাসিমের সহযোগিতায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এরপর হাসিমও তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে গৃহবধূর সাথে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং গৃহবধূ চিৎকার করতে থাকে। এর একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। কিন্তু ধস্তাধস্তির সময় ইব্রাহিমের পরনের লুঙ্গি খুলে রয়ে যায়। পরদিন ১২ এপ্রিল সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গৃহবধূকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওইদিন এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ইব্রাহিমকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতিয়া থানার এসআই পনি ভূষণ মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ২৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বুধবার সকালে আসামির উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ সামস্উদ্দীন খালেদ ধর্ষণ মামলার আসামি ইব্রাহিমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাড. মো মর্তুজা আলী পাটোয়ারী এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. আব্দুর রহমান। দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিমকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply