পর্তুগালে পাঁচ দিনের জরুরি অবস্থা জারি

|

পর্তুগাল প্রতিনিধি:

অল সেইন্ট’স ডে এবং হ্যালোইন নামক উৎসব থাকার কারণে জনসমাগম রোধ করে করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য ৩০শে অক্টোবর রাত বারোটা থেকে ৩ নভেম্বর ভোর ছয়টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জরুরি অবস্থা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্তুগাল সরকার।

এদিকে করোনার সংক্রমণ বর্তমানে গত মার্চ মাসের প্রথম সংক্রমণের পরিস্থিতিকেও হার মানাচ্ছে। শুরুতে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৬০০ মধ্যে যেখানে সংক্রমণ সীমাবদ্ধ থাকতো এখন সেকেন্ড ওয়েভে ইউরোপের অন্যান্য দেশের ন্যায় প্রতিদিন তা বেড়ে ৪ হাজারের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। গত ২৮ শে অক্টোবর সর্বোচ্চ ৩৯৬০ জন সংক্রমণ সনাক্ত করা হয়েছে যা একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড এ পর্যন্ত।

এই জরুরি অবস্থার মাঝে এক সিটি কর্পোরেশন (মিনিসিপিলিটি- কনসেলো) থেকে অন্য সিটি কর্পরেশনে যৌক্তিক জরুরি কারণ ছাড়া ভ্রমণ করা নিষেধ করা হয়েছে।

তবে ব্যতীক্রম রয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। যেমন স্বাস্থ্য সবার সাথে যুক্ত কর্মীগণ এবং সমাজকর্মী, শিক্ষকতার সাথে যুক্ত পেশাজীবী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীগণ, সামরিক বাহিনীর সাথে যুক্ত ব্যক্তিগণ, প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাবলে রাজনৈতিক দলের পরিচালকগণ, সরকারের জরুরী সেবায় নিয়োজিত কর্মীগণ এবং জাতীয় সংসদের সাথে সম্পর্কিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিগণ এই আওতার বাইরে থাকবে। এছাড়াও কোন প্রকার উৎসব আয়োজন করা যাবে না।

তবে কেউ যদি তার বসবাসরত এলাকার বাইরে থাকেন তাহলে এসে তিনি তার এলাকায় ফিরতে পারবেন। তাছাড়া দেশের বাইরে ভ্রমণ করার জন্য এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে গমন করা যাবে। নিদৃষ্ট সিটি কর্পোরেশন (মিনিসিপিলিটি- কনসেলো) এলাকার মধ্যে বিভিন্ন পাবলিক একভিটি খোলা থাকলে তা স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ব্যবহার করা যাবে। যদি কোন কারণে নির্দিষ্ট সিটি কর্পোরেশন (মিনিসিপিলিটি- কনসেলো) এরিয়ার বাইরে যেতে হয় যেমন সন্তানকে স্কুলে আনা-নেয়ার জন্য, শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রমাণযোগ্য যে কোন প্রকার ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখতে হবে।

পহেলা নভেম্বর ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অল সেইন্টস’ ডে পর্তুগালের অনাড়ম্বর আয়োজন এর মাধ্যমে পালন করা হয় এবং হ্যালোইন নামক উৎসব থাকায় অতিমাত্রায় সংক্রমণ এড়াতে ও অনাকাঙ্খিত দুর্যোগরোধ করার জন্য এই সতর্কাবস্থা জারি করলো পর্তুগাল সরকার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply