পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের পাড় থেকে দোকান সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লাল মিয়া (১৭) নামের একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আশংকাজনক অবস্থায় মা চানবানু বেগম (৫৫) ও তার ভাই আলী আকবরকে (১৬) উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে কুয়াকাটা বেড়িবাঁধের বাইরে টুরিস্ট পুলিশ বক্সের পশ্চিম পাশে সি-বিচ সংলগ্ন মো. মোস্তফা মিয়ার ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লাল মিয়া ওই এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় তিনিও কমবেশি আহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনার সময় চানবানু, লাল মিয়া ও আলী আকবর ফিস ফ্রাইয়ের কাজ করছিল। ইতোমধ্যে জোয়ারে সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের দোকানের সন্নিকটে পানি চলে আসে। ফলে তারা তাদের ভাসমান দোকান অন্য স্থানে স্থানান্তর করতে থাকে। কিন্তু আচমকা দোকানের সাথে থাকা অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক সংযোগ ছিঁড়ে পানির মধ্যে পরে পানি বিদ্যুৎপরিবাহী হলে তিনজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার লাল মিয়াকে (১৮) মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুইজন চানবানু ও আলী আকবরের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করা হয়।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা রাজু আহমেদ জানান, রাতেই কলাপাড়া হাসপাতাল থেকে তাদেরকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, পল্লীবিদ্যুতের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজশে কুয়াকাটা বেড়িবাঁধের বাইরের সৈকতের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে সাইড লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে মোটা অংকের টাকা প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে। যার খেসারত হিসাবে প্রাণ গেলো লাল মিয়া নামের ওই শিশুর।
ইউএইচ/
Leave a reply