পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
ডাকাতি মামলার চার্জশীট ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও বিষয়টি গোপন রেখে অন্য একটি মামলায়ে হাজিরা দিতে এসে কারাগারে যেতে হল পটুয়াখালীর মোঃ কাওসার হোসেনকে। সোমবার বিকালে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ শিহাব উদ্দিন আসামি কাওসার হোসেনকে কোট পুলিশের মাধ্যমে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি কাওসার হোসেন ঢাকার পল্টন এলাকার আলোচিত ডিবি পরিচয়ে ৯৫ লাখ টাকা ডাকাতির মামলার চার্জশীট ও ওয়ারেন্টভুক্ত
সপ্তম আসামি। সে পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের ঠ্যাংগাই গ্রামের মোঃ শাহবুদ্দিন মিয়ার ছেলে কাওসার হোসেন।
পটুয়াখালী আদালতের অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট কমল দত্ত জানান, ঢাকার প্যানারোমা নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক আঃ হান্নান মিয়া ২০১৯ সালের ১০ই অক্টোবর ব্র্যাক ব্যাংক বিজয়নগর শাখা থেকে ৬০লাখ টাকা এবং সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। তার সাথে থাকা আরও ১৫লাখ টাকাসহ মোট ৯৫ লাখ টাকা নিয়ে গাড়ী যোগে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ওইদিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ৩২বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকার অগ্রণী ব্যাংকের সামনে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন সাদা পোষাকে লোক তার গাড়ী থামিয়ে তল্লাশি করে ওই টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পল্টন থানায় অবহিত করেন এবং তিনি নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোঃ সোহাগ মাঝি নামের ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে ডাকাতি করা কয়েক লাখ টাকা ও গাড়ীও জব্দ করা হয়।
সোহাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ অনুসন্ধান করে মোট আটজন আসামিকে চিহ্নিত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে আরও চারজন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মোট পাঁচজন আসামির কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ডাকাতি করা মোট ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। বর্তমানে ওই পাঁচজন ঢাকা কারাগারে আছে।
এ্যাডভোকেট কমল দত্ত আরও জানান, ওই মামলার আটজন আসামির মধ্যে ৭ জনেরই দেশের বাড়ী পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায়। ইতিমধ্যে অপর তিনজন পলাতক আসামি মোঃ মোশাররফ মেল্কার, নয়ন মোল্লা এবং কাওসার হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারীর কাগজ পটুয়াখালীতেও এসে যায়। এদের মধ্যে চার্জশীট ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কাওসার হোসেন কৌশলে সোমবার দুপুরে অন্য একটি মামলায় (সিআর ৫৩৭/২০) হাজিরা দিতে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হন।
তিনি জানান, আসামিকে দেখে পুরো ঘটনা বিজ্ঞ বিচারককে লিখিত ভাবে অবহিত করলে তিনি কোট ইন্সপেক্টর মোঃ কামাল হোসেনের মাধ্যমে ওয়ারেন্টের বিষয় কনফার্ম হয়ে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Leave a reply