পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
মেয়াদ উত্তীর্ণের সাত বছর পর পটুয়াখালী জেলা বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটি ভেঙ্গে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাবেক সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়াকে আহবায়ক এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংষু সরকার কুট্টিকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির চলতি দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটি বিলুপ্তি
ঘোষণা করে উপরোক্ত আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর স্বাক্ষরিত আরেক চিঠিতে ‘আগামী ৭দিনের মধ্যে এই আহবায়ক এবং সদস্য সচিব মিলে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনা করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপির একটি আহবায়ক কমিটির তালিকা চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।’
সদস্য সচিব স্নেহাংষু সরকার কুট্টি বলেন, দীর্ঘ আঠার বছর জেলা বিএনপির কমিটি থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী অগণতান্ত্রিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমাকে দূরে সরিয়ে রাখলেও বর্তমান সরকার বিরোধী বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রামে আমি সক্রিয় ছিলাম। যে কারণে দল মূল্যায়ন করে আমাকে সদস্য সচিব বানিয়েছে। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে একটি
শক্তিশালী আহবায়ক কমিটি তৈরি করতে পারবো।
সবশেষ ২০১১ সালে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে সভাপতি এবং এমএ রব মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছর মেয়াদি পটুয়াখালী জেলা বিএনপির পূর্নাঙ্গ নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি থাকাকালীন আলতাফ হোসেন চৌধুরী পটুয়াখালী-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তখন থেকেই ‘আল্লার মাল আল্লায় নিছে’ বলে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন। এরপর সাংবাদিক নির্যাতন থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু নির্যাতনে পটুয়াখালীর আতংকে পরিণত হয়। ওই সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন আজকের সদস্য সচিব স্নেহাংষু সরকার কুট্টি। কয়েক দিনের মাথায় কুট্টি সরকারকে দলকে বহিষ্কার করেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। সেই থেকে দীর্ঘ আঠার বছর দলের কোন কমিটিতে ঠোকার সুযোগ পাননি কুট্টি সরকার।
Leave a reply