আগামী চার বছর হোয়াইট হাউসে কে বাস করবেন সেটি নিয়ে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান শিবিরে তুমুল লড়াই চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে বাইডেনের দরকার ৪৫ ইলেক্টোরাল ভোট। আর ট্রাম্পের দরকার আরও ৫৭ ভোট। বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প এখনও পিছিয়ে ১৩ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট।
অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন ব্যাটলগ্রাউন্ডগুলোতে কে জয়ী হন সেটির ওপর নির্ভর করছে কে হচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই ৫টি অঙ্গরাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা বেশি।
নির্বাচনী ফল বিশ্লেষণে জানা গেছে, বেশিসংখ্যক অঙ্গরাজ্যে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু সেগুলোতে ইলেক্টোরাল ভোট কম। রিপাবলিকান প্রার্থী ২৩টি রাজ্যে বিজয়ী হয়েছেন। যার মধ্যে ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, মিসৌরি ও ওহাইও অন্যতম। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও এসব রাজ্য দখলে নিয়েছিলেন ট্রাম্প।
বাইডেন ১৮টি রাজ্যে জয়ী হলেও সেগুলোকে ইলেক্টোরাল ভোট বেশি। যার মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন রয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন এসব রাজ্য থেকে জয়ী হয়েছিলেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী জো বাইডেনের মধ্যে রুদ্ধশ্বাস লড়াই চলছে। বাংলাদেশ সময় বুধবার বেলা ১টা পর্যন্ত বাইডেন ২২৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন আর ও রিপাবলিকান ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৩টি।প্রেসিডেন্ট হতে বাইডেনের দরকার ৪৫ ইলেক্টোরাল ভোট। আর ট্রাম্পের প্রয়োজন ৫৭ ইলেক্টোরাল ভোট।
সুইং স্টেটগুলোর কোনো কোনোটায় ট্রাম্প জয়ী হচ্ছেন, কোনোটায় আবার বাইডেন। ৫৫ ইলেক্টোরাল ভোটের ক্যালিফোর্নিয়ায় জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী জো বাইডেন। আর ২৯ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের গুরুত্বপূর্ণ ফ্লোরিডায় জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজধানী ওয়াশিংটনের বরাবরের মতো জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।
কয়েকটি ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যের ফল এখনও বাকি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, পপুলার ভোটে যে জয়ী হবে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না, যদি না ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পক্ষে না থাকে। আগের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন সাড়ে ২৯ লাখ ভোট বেশি পেয়েও জয়ী হতে পারেননি ট্রাম্পের সঙ্গে।
ইউএইচ/
Leave a reply