শীতকালে শরীরের বাহ্যিক যত্ন নিয়ে আমরা বেশি ভাবি। কিন্তু ভুলে যাই এর সঙ্গে পুরো স্বাস্থ্যগত বিষয় জড়িত। অন্যান্য ঋতুর মতো এ সময়ের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে বিশেষ খাবার ও জীবনযাপনের প্রয়োজন হয়। শীতে শরীরের আর্দ্রতা বোঝা যায় না। কারণ গরমকালের মতো ঘাম ঝরে না। এছাড়া তৃষ্ণা কম লাগায় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাৎক্ষণিক কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও পরবর্তীতে অসুস্থতা হানা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
এ সময়ে পর্যাপ্ত পানি পানের উপকারিতা অনেক। আসুনসে সম্পর্কে জেনে নেই-
* তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ:
শীত কিংবা গ্রীষ্ম সবসময়ই পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর আর্দ্র থাকলে দেহের ভেতর উষ্ণ থাকে ও হাইপোথার্মিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শারীরিক শক্তি ক্ষয় করতে পারে। এতে ঠান্ডা ও ফ্লু সহজে আক্রমণ করে। শরীর আর্দ্র থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
* ওজন নিয়ন্ত্রণ:
শরীর আর্দ্র থাকলে দেহের চর্বি দ্রুত পুড়তে সাহায্য করে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।
* ত্বকের স্বাস্থ্য:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ত্বকের যত্নে প্রথমেই পর্যাপ্ত পানি পান করার পরামর্শ দেন। পানি শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও নিস্তেজ হতে দেয় না।
এবার জানা যাক শীতকালে শরীর আর্দ্র রাখার কিছু উপায়-
* উষ্ণ পানি পান:
শীতকালে ব্যায়ামের পর বা অন্য সময়েও হালকা গরম পানি বা কোমল পানীয় পান করুন। যা ঠান্ডা পানির চেয়ে শরীর দ্রুত শুষে নেয়।
* ফল-শাক খাওয়া:
প্রচুর তাজা ফল খান। শাকসবজিতে পানির উপস্থিতি থাকে সেগুলোও শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরি, কমলালেবু, আনারস, লেটুস, মটরশুটি, টমেটো, গাজর, শাক ও শশা খেলে শরীর আর্দ্র থাকবে।
* অ্যালকোহল-ক্যাফেইন বাদ দিন:
শীতকালে গরম চা, কফি এবং অ্যালকোহল বেশ লোভনীয় পানীয়। এগুলো শরীর আর্দ্রতাশূন্য করে।
* স্যুপ-জুস পান করা:
স্যুপ ও জুস জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যকর। শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এসব দেহকে ভেতরে উষ্ণ রাখার কার্যকরী পানীয়।
Leave a reply