গ্লি আর নেই। রোববার ১৬ বছর বয়সে ইস্তাম্বুলের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যায় হায়া সোফিয়ার অন্যতম আকর্ষণ গ্লি। খবর তুর্কি গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড’র।
‘গ্লি’ বাংলা অর্থ দাড়ায় ভালোবাসার মেলবন্ধন। তুরস্কের বিখ্যাত মসজিদ হায়া সোফিয়ার অন্যতম আকর্ষণ ছিল গ্লি নামের এই বিড়ালটি। ২০০৪ সালে হায়া সোফিয়ার অভ্যন্তরে জন্মগ্রহণ করে গ্লি। তারপর থেকেই যেন হায়া সোফিয়া আর গ্লি হয়ে উঠে একে অপরের পরিপূরক।
হায়া সোফিয়া ভ্রমণে গেলে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ থাকে গ্লি’কে ঘিরে। ২০০৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা তুরস্ক সফরে গেলে তার কাছেও অন্যতম মনযোগের বিষয় হয়ে উঠে গ্লি।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকেই ইস্তাম্বুলের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল গ্লি। সোমবার সে তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস গ্রহণ করে। গ্লি’র মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন ইস্তাম্বুলের মেয়র আলি ইয়েরলিকায়া।
ইস্তাম্বুল মেয়র বলেন, আমরা কখনোই তাকে ভুলতে পারবো না। গ্লি’র মৃত্যু আমাদের প্রচণ্ড শোকাহত করেছে।
সম্প্রতি হায়া সোফিয়া জাদুঘর থেকে মসজিদে রুপান্তর হলে সেখানে নামাজ আদায় করতে আসা মুসুল্লিদের কাছে আগের চেয়েও বেশি সমাদৃত হয়ে আসছিল গ্লি। ফলে তার মৃত্যুতে এক প্রকার শূণ্যতা নেমে এলো হায়া সোফিয়ায়।
Leave a reply