বরখাস্ত হওয়া সিলেট বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আকবরকে ধরতে ‘কিছু বিশ্বস্ত বন্ধু’ সাহায্য করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন।
সোমবার সন্ধ্যায় আকবরকে গ্রেফতারের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। এসময় তিনি বলেন, আমাদের জেলা পুলিশের প্রত্যক্ষ চেষ্টায় আকবরকে ধরা সম্ভব হয়েছে। আমাদের কাছে আকবরকে কেউ সোপর্দ করেনি। এর আগে, একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেটা কে বা কারা করেছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমরাই আকবরকে গ্রেফতার করেছি।
তিনি আরও বলেন, আকবরকে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হতে পারে সে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলো কিংবা ভারত থেকে কোন কারণে আবার বাংলাদেশে ফিরে আসার চেষ্টা করছিলো। এখানে দু’টি প্রক্রিয়া ঘটে থাকতে পারে। বাকিটা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিষ্কার বলা যাবে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, আকবর এতদিন যেখানে যেখানে পলায়নরত ছিলো এবং তাকে পালাতে যে বা যারা সাহায্য করেছে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। একইসাথে আমাদের পুলিশ ডিপার্টমেন্টের তদন্তে কোন গাফিলতি বা ত্রুটি থাকলে সেটা খতিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরীর আখালিয়া নেহারীপাড়ার বাসিন্দা রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন মারা যায় রায়হান। এতে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদি হয়ে মামলা করলে এসএমপির একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে সত্যতা পায়। ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেনসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ১৩ অক্টোবর আকবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যায়। পলায়নের ২৬ দিন পর আজ তিনি গ্রেফতার হলেন।
Leave a reply