বন্ধ হয়ে গেলো স্নায়ুযুদ্ধের সাক্ষী জার্মানির টেগেল বিমানবন্দর

|

ছবি: ডয়েচে ভেলে।

বন্ধ হয়ে গেলো জার্মানির রাজধানী বার্লিনের বহু পুরোনো টেগেল বিমানবন্দর। শনিবার এখান থেকে শেষ ফ্লাইটটি উড়ে যায় ফ্রান্সের প্যারিসের উদ্দেশে। শহরের আরেক প্রান্তে নতুন বিমানবন্দর চালুর পরই বন্ধ ঘোষণা হয় বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট কার্যক্রম। তবে চালু থাকবে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। ২০২১ সালের মাঝামাঝি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে টেগেল বিমানবন্দর।

স্নায়ুযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষী বার্লিনের এই বিমানবন্দরটি। ১৯৪৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বার্লিন অবরোধের সময় টেগেলে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে গড়ে তোলে ফরাসী বাহিনী। ১৯৬০ সালে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করে টেগেল এয়ারপোর্ট।

প্রথম ফ্লাইট হিসেবে টেগেলের রানওয়ে ছুঁয়েছিল এয়ার ফ্রান্সের একটি বিমান। শিডিউলের শেষ ফ্লাইটটিও তাদের। ঘটা করে বিমানটিকে বিদায় জানায় এয়ারপোর্টের কয়েকশ’ কর্মী। টার্মিনালের ফায়ার ইঞ্জিন থেকে দেয়া হয় ফাউন্টেইন স্যালুট।

ঐতিহাসিক কারণেই বিমানবন্দরটির সাথে আবেগের সম্পর্ক বার্লিনবাসীর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঘটেছে সেই আবেগের বহিপ্রকাশ।

স্থানীয় সাধারণরা জানায়, এখানে থেকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ফ্লাইট গিয়েছে। এখন সব অতীত। সত্যি খারাপ লাগছে। আবগাপ্লুত আরেক জন জানান, খুব আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছি। শহরের একটি বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে এটা আধুনিক সময়। মেনে নিতেই হবে।

বার্লিনের পশ্চিমাঞ্চলের সাথে বিশ্বের যোগাযোগের দুয়ার ছিল টেগেল। সক্ষমতা না বাড়ায়, অনেক দিন ধরেই রাজধানীবাসীর চাহিদা মোটাতে পারছিল না বিমানবন্দরটি। তাই শহরের আরেক প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে বার্লিন-ব্রান্ডেনবুর্গ বিমানবন্দর। টেগেল এয়ারপোর্ট এখন রূপ নেবে রিসার্চ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply