গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-ছেলে ও নাতিসহ ৩ জনের মৃত্যু

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ধোপাডাঙ্গায় বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারে জড়িয়ে মা-ছেলে ও নাতিসহ একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা গ্রামের সৈয়দ আলীর স্ত্রী রেখা বেগম (৫০) তার ছেলে আজাউল হক (৩৫) ও নাতি সুজন মিয়া (১৩)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান রাজু জানান, সন্ধ্যার পর রেখা বেগম তার ছেলে ও নাতিকে নিয়ে বাড়ির পাশে জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যান। চারা রোপণের পর জমির আইল দিয়ে পায়ে হেটে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। এ সময় একটি জমিতে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রেখা বেগমসহ সঙ্গে থাকা ছেলে ও নাতি। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করেন।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির ওপর দিয়ে বাঁশের খুঁটিতে ঝুলন্ত তারে পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ নেয় প্রতিবেশীরা। কয়েকদিন আগে বাঁশের খুঁটি ভেঙ্গে জমিতে বিদ্যুতের তার পড়ে থাকে। কিন্তু বিষয়টি জানা না থাকায় সেই তারে জড়িয়ে মা ও ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুতের তার জমিতে পড়ে থাকলেও তা মেরামত করেনি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। বিষয়টি স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লোকজনকে জানালেও খুঁটি ও তার সরানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। একই সঙ্গে তিনজনের প্রাণ হারানোর ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন তারা। তবে এ বিষয়ে রংপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সুন্দরগঞ্জ জোনাল অফিসে কর্মরতদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, ঘটনাস্থলে থাকা সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ছামছুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply