‘ডায়াবেটিস সেবায় নার্সদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ’

|

কোভিড নাইনটিন মহামারিতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন ডায়াবেটিস রোগীরা। বিশ্বে করোনায় এ পর্যন্ত মৃতের ৭ শতাংশই ডায়াবেটিক রোগী ছিলেন। তাই সংক্রমণের লক্ষণ দেখা মাত্রই কোভিড পরীক্ষা করে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ চিকিৎসকদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিসে একবার আক্রান্ত হলে এ থেকে স্থায়ী মুক্তির উপায় নেই।

তবে পরিমিত খাবার আর ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে চললে প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২০’ পালিত হচ্ছে।

এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- ‘ডায়বেটিস সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’। দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশে ব্যাপক প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। প্রতি বছরের মতো বাংলাদেশসহ প্রায় ১৭০টি দেশে এ দিবস পালিত হবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয়, সচেতনতামূলক পোস্টার, লিফলেট বিতরণ, প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, চিকিৎসক-রোগীদের আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব, হ্রাসকৃত মূল্যে নিবন্ধন, চিকিৎসা পরামর্শ ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

ডায়াবেটিক সমিতির তথ্য মতে, দেশে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। করোনা সংক্রমনে যাদের ঝুঁকির মাত্রা বেশি, সেই তালিকায় প্রথম দিকেই আছে ডায়াবেটিস রোগীরা। তাই বাড়তি সর্তকতার পাশাপাশি আছে শঙ্কাও।

দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার বারডেম হাসপাতালে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, সারাবিশ্বেই ডায়াবেটিস এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ রোগ আজীবনের। একবার হলে তা কখনো সারে না। তবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব।

বারডেম হাসপাতালের মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খাজা নাজিম উদ্দিনের মতে, করোনায় সব ধরেণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সংক্রমণের লক্ষণ দেখা মাত্রই পরীক্ষা করাতে হবে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, অনিয়ন্ত্রিত হলেই ইনসুলিন কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply