সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের প্রায় এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। শনিবার ( ১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
এতে, প্রেসিডিয়াম সদস্যের তালিকায় আছেন : অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ সওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ঠাঁই পেয়েছেন: বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, শেখ ফজলে নাঈম ও মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দ্দার।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ঠাঁই পেয়েছেন: মাজহারুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, সোহাগ পারভেজ, শহিদুল হক রাসেল, মশিউর চপল, সামীম আল সাইফুল ও রেজাউল কবির।
এছাড়াও প্রচার সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন আদিত্য নন্দী। এছাড়া নির্বাহী সদস্য হয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থর ছোট ভাই আশিকুর রহমান (শান্ত)।
পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখতে ক্লিক করুন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবকদের সংগঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুবলীগ গঠন করেন তার ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি। ১৯৭৪ সালে যুবলীগের প্রথম কংগ্রেসে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান শেখ মনি ও শেখ সেলিমের ভগ্নীপতি ওমর ফারুক। গত বছর ক্যাসিনোকাণ্ডে বড় ধাক্কা খায় যুবলীগ। দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে। সেই কমিটির নেতাদের অনেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ নানা অপরাধে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এরপরই ইমেজ পুনরুদ্ধারে নেতৃত্বে আনা হয় শেখ ফজলে শামস পরশকে। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মাইনুল হোসেন খান নিখিল। প্রায় একবছর পর আজ পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেলো যুবলীগ।
Leave a reply