বাংলাদেশের সংগীত জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লার জীবনে বিশেষ দিন আজ। এদিন জীবনের ৬৭ বসন্ত পেরিয়ে ৬৮ বছরে পা দিলেন সুরের পাখি রুনা লায়লা।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে তার জন্ম। রুনার বয়স যখন আড়াই বছর তখন তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে।
১৯৭৪ সালের শুরুতে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। তবে পাকিস্তানের ‘যুগ্নু’ ছবিতে ছোটবেলায় রুনা লায়লা প্রথম প্লেব্যাক করেন।
দীর্ঘ পাঁচ দশকে অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন রুনা লায়লা। পাশাপাশি বাংলাদেশকে সাফল্যের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিকসহ প্রায় সব ধাঁচের গানই গেয়েছেন তিনি।
বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, পাঞ্জাবিসহ ১৮টি ভাষায় রুনা লায়লার গানগুলো মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছেন শ্রোতারা। তার গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। সংগীতজীবনে এরইমধ্যে বর্ণাঢ্য ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই কণ্ঠশিল্পী। চলচ্চিত্রের গানে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রুনা লায়লা। এ ছাড়া পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার।
রুনা লায়লা তিনবার বিয়ে করেছেন। প্রথমবার তিনি খাজা জাভেদ কায়সারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয়বার তিনি সুইস নাগরিক রন ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বাংলাদেশি অভিনেতা আলমগীরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ইউএইচ/
Leave a reply