বকেয়া অর্থ পরিশোধ এবং অবসরপ্রাপ্তদের সরকার ঘোষিত আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী।
রোববার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সংগঠনের বক্তারা বলেন, যে সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিশ্রমে এই নোবেল অর্জিত হয়েছে, সে সব বীরেরা আজ রিকশা চালাচ্ছে, অটো চালাচ্ছে। সরকারি অন্যান্য বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে পেনশন সুবিধা কার্যকর হলেও গ্রামীণ ব্যাংকে তা এখনও চালু করা হয়নি। গ্রামীণ ব্যাংকের ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা পরিশোধ না করায় বর্তমানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাতা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় শান্তির নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠানে অশান্তির দাবানল জ্বলে উঠবে।
বক্তারা আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা প্রদান করতে জাতীয়, অর্থমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরের নির্দেশনা থাকলেও গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। অবিলম্বে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা না হলে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায় বহন করতে হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলেন, সরকার ঘোষিত আর্থিক সুবিধা প্রদান না করে সময়ক্ষেপণ করছে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, সরকারি নির্দেশনা গ্রামীনব্যাংকে বাস্তবায়ন না করলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে অবসরকালীন সুবিধা আদায়ে বাধ্য করা হবে বলেও এ সময় তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবসরপ্রাপ্তদের রাস্তায় নামিয়ে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠানটির দুর্নাম বিদেশে ছড়াচ্ছে। সরকারের বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হলেও শুধু গ্রামীণ ব্যাংকে এসব ভাতা পরিশোধ না করায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
মানববন্ধনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলমাস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জালালউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টা মাহবুবুল হকসহ ৬৪ জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএইচ/
Leave a reply