পিরোজপুর প্রতিনিধি :
দুদকের দায়েরকৃত মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনকে তিন মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে পিরোজপুর বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে পিরোজপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নাহিদ নাসরিন এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শহিদুল হক পান্না।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শহিদুল হক পান্না জানান, পিরোজপুর স্পেশাল আদলতে দুদকের দায়েরকৃত তিনটি মামলায় আসামিরা জামিনে ছিলেন। আজ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে
এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীন উপস্থিত হয়ে জামিন চাইলে আদালতের বিচারক তাদের তিন মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।
দুদকের আইনজীবী অ্যাড. মুনসুর উদ্দিন হাওলাদার এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর তিনটি মামলা দায়ের করেন। এর একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি তারা আবেদন করলে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট বিভাগ। ৩ মার্চ তারা পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. আব্দুল মান্নান জামিন নামঞ্জুর করেন এবং তাদের কারাগার পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আউয়াল সমর্থকেরা। জেলা আইনজীবী সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে বিচারককে বদলি করা হয়। নতুন বিচারকের আদালতে আবেদন করা হলে নাহিদ নাসরিন জামিন মঞ্জুর করেন।
এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে পিরোজপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহা. মহিদুজ্জামান তাদের এক মাসের জামিন আদেশ দেন।
একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ইউএইচ/
Leave a reply