বাংলাদেশ ফুবলের কিংবদন্তি বাদল রায়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে সারাদেশে। যার যার অবস্থান থেকে কিংবদন্তি এই ফুটবলারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভুল করেননি শুভানুধ্যায়ীরা।
কিন্তু যে ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন বাদল রায়, তারাই ভুলে গিয়েছিলো সম্মান জানাতে। ২২ নভেম্বর মধ্যরাতে বাফুফের ফেসবুক পেইজে লোক দেখানো শোক বার্তা প্রকাশ করা হয়েছিলো। পরের দিন চিরতরে বাদল রয়কে যখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে বিদায় জানানো হচ্ছিলো তখনও উপস্থিত ছিলেন না বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন
সে সময় গুঞ্জন উঠে ব্যক্তিগত বিরোধের কারণেই হয়তো সাবেক সহখেলোয়ারের মৃত দেহটিও দেখতে যাননি সালাহউদ্দিন।
বাফুফের জেনারেল সেক্রেটারি আবু নাইম সোহাগ যেদিন বাদল রায়কে চরম অপমান করে বলেছিলেন ,আপনি আর বাফুফেতে আসবেন না,আর যদি আসেনও তাহলে এক কাপ চা খেয়েই চলে যাবেন। তখনও বাদল রায় ছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি। সেই আপমান সহ্য করতে না পেরে কিংবদন্তি এই ফুটবলার আর কখনোই বাফুফেতে পাঁ রাখেননি। বিদায় বেলায়ও বাফুফেতে নেয়া হয়নি তাকে।
এসব ঘটনা নজরে এসেছে সবার। তাই নানা ধরনের আলোচনা সমলোচনাও চলছিলো। হঠাৎ করেই বুধবার বিকেলে বাফুফে ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কাজী সালাহউদ্দিন জানান, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আমি বাদল রায়ের বিদায় বেলায় উপস্থিত থাকতে পারিনি । আমার মনে হচ্ছিল আমার হয়তো করোনাই হয়েছে সেই কারণে ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার করোনা টেস্টও করিয়েছি। এখন পর্যন্ত রেজাল্ট পাইনি। সেখানে না যাবার একটিই কারণই ছিলো, অন্যকিছু নয়।
তবে, করোনার শঙ্কা নিয়েই বাফুফে ভবনে সরাসরি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন কাজী সালাহউদ্দিন। সে সময় বাফুফের সফাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের মুখে ছিল না কোনো মাস্ক। মাস্ক ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাফুফের জেনারেল সেক্রটারি আবু নাইম সোহাগও।
Leave a reply