ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় আদর্শপাড়া এলাকার একটি বাড়ির প্রবেশ পথ থেকে শুক্রবার সকালে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা আজিজুলের (৪৫) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় রাজাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটির বাদি হয়েছেন নিহতের ছোট ভাই জাহিদুল হক।
শুক্রবার লাশ উদ্ধারের পরে ঐ বাড়ির ২য় তলার ভাড়াটিয়া রাজাপুর মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কামরুন্নাহার সুমী (৩১) এবং তার বাবা শহিদুল বিশ্বাসকে (৫৮) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরিশাল বান্দ রোড বঙ্গবন্ধু কলোনি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজাপুর থানায় মামলা দায়েরের পরপরই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি স্কুল শিক্ষিকা ও তার বাবাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রাতেই আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আজিজুল বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন। করোনার কারণে তিনি নিয়মিত অফিসে না যাওয়ায় সম্প্রতি তিনি চাকরী হারান। এদিকে রাজাপুরের স্কুল শিক্ষিকার পায়ে সমস্যা থাকায় চিকিৎসার জন্য তিনি প্রায়ই ঢাকায় আসা যাওয়া করতেন। আর সেখান থেকেই উভয়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত কয়েকদিন আগে বাবা শহিদুল তার মেয়ে সুমীর জন্য অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। এই খবর শুনেই আজিজুল ঢাকা থেকে শিক্ষিকার রাজাপুরের ভাড়া বাসায় যান। শিক্ষিকা সুমীর বাসায় সেদিন তার বাবাও উপস্থিত ছিলেন। মধ্যরাতে তাদের সাথে আজিজুলে বাক বিতণ্ডা হলে বাবা মেয়ে দুজনে মিলে আজিজুলকে মেরে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। এবং ভোর হওয়ার আগেই তারা রাজাপুর থেকে পালিয়ে বরিশালে গা ঢাকা দেয়।
পরবর্তীতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির মালিক ও পথচারীরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে।
Leave a reply