বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ক্রিকেটে প্লেয়ার ড্রাফটের পর থেকেই আলোচনা শুরু হয় ঢাকা ও খুলনা দল নিয়ে। হাই বাজেটের এই দল দু’টি নিয়ে প্রত্যাশা একটু বেশিই ছিলো সাধারণ ক্রিকেট ভক্তদের। তবে এখন পর্যন্ত নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি তারা।
পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকালেই বোঝা যায় তাদের পারফরমেন্স কতটা ভালো। দুই ম্যাচে দু’টিতেই হেরেছে মুশফিকের ঢাকা। পয়েন্ট টেবিলের সবার পেছনে অবস্থান তাদের। আর নেট রানরেটের অবস্থা একেবারেই করুন। মাইনাস ২ দশমিক ০২৫ নিয়ে ঢাকার অবস্থান টেবিলের ৫ নাম্বারে।
খুলনায় খেলছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মাহদুল্লাহ রিয়াদের মত নাম করা খেলোয়াড়রা। তাতে কি, মাঠের পারফরমেন্সটাই তো আসল কথা। এখনও ফিরতে পারেননি নিজের রুপে। রিয়াদও ধুকছেন ব্যাট হাতে। ঢাকার চাইতে ১ ম্যাচ বেশি খেলে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে আছে খুলনা। নেট রানরেট মাইনাস ১ দশমিক ১০১।
টুর্নামেন্ট শুরু হবার আগে আলোচনা হয়েছে তামিমের বরিশাল নিয়েও। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌঁড়ে তাদের নামও কেউ কেউ উচ্চারণ করেছিলেন। তবে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তামিমের বক্তব্য। দল নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না এই ওপেনার। তাই হয়তো দলের পারফরমেন্সেও পড়েছে তার প্রভাব। দুই ম্যাচে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে তামিমদের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের ৩ নাম্বারে। নেট রানরেট ঢাকা ও খুলনার চেয়ে এগিয়ে ০ দশমিক ১৮।
এবার আসি পয়েন্ট টেবিলের দুয়ে থাকা রাজশাহীর কথায়। কাগজে কলমে খুবই দুর্বল দল। বলতে গেলে এই দল নিয়ে কখনও কেউ কিছু আশাই করেনি। এমও বিশ্বাস ছিলো অনেকের যে এই আসরে একটি ম্যাচও জিততে পারবে না রাজশাহী। দলে তারকা বলতে অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন ও মোহাম্মাদ আশরাফুল। তার মধ্যে অনুশীলনে ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে চলে যায় সাইফুদ্দিন।
নাজমুল হাসান শান্ত এই দল নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন দুরন্ত গতিতে। সোজা কথা প্রতিপক্ষকে কোন রকম ছাড় দিচ্ছেন না তারা। দুই ম্যাচে দুর্দান্ত জয় তুলে নিলেও তৃতীয় ম্যাচে তামিমদের সাথে হারতে হয়েছে তাদের। তারপরও পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উত্তরবঙ্গের এই দলটি। মোট পয়েন্ট ৪ আর নেট রান রেট দশমিক ২০৪।
চট্টগ্রামের অধিনায়কই তো পছন্দ হয়নি কারো। অধিনায়কের নাম ঘোষিত হবার পর থেকেই মিথুনকে নিয়ে চলছিলো সমলোচনা। ফেসবুক থেকে শুরু করে সব সামাজিক মাধ্যমে ট্রল হচ্ছিলো তাকে নিয়ে। দলে সৌম্য ও লিটন আছে তারপর ভরসা ছিল না অধিনায়কের উপর। সব সমলোচনার জবাব মাঠে দিয়েছেন নিজের দায়িত্ব ঠিক ঠাক পালন করে।
মোস্তফিজের ধারে কোন দলই এখন পর্যন্ত ১০০ রান করতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে। দু’টি ম্যাচে জয় পেয়েছে দু’টিতেই। টুর্নামেন্টের সবচাইতে বড় দুই দলকে হারিয়েছে হেসে খেলেই। খুলনাকে ৮৬ আর ঢাকাকে অলআউট করেছেন ৮৮ রানে। ব্যাট হাতে দারুন ছন্দে লিটন সৌম্য। নেট রানরেট ২ দশমিক ৮৭৪।
Leave a reply