আশার কথা বলেছিলেন ঠিকই কিন্তু সেই আলো ছড়াতে পারলেন কই? ম্যাচ পাতানোর দায়ে গেল পাঁচ বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত ছিলেন। নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন সামান্য কোন সুযোগ আসলেই সেটিকে শতভাগ কাজে লাগাবেন বলে। বলা হচ্ছে দেশের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মাদ আশরাফুলের কথা।
কিন্তু যখন সুযোগ এসেছে তখন তা কাজে লাগাতে পারছেন কই? আশরাফুল ভক্তরা প্রতি ম্যাচের আগেই স্বপ্ন দেখেন প্রিয় ব্যাটসম্যান হয়তো আজকের ম্যাচে স্বরূপে ফিরবেন। কিন্তু আশরাফুলের সেই ব্যাটিং আর চোখে পড়ছেন না। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ক্রিকেটে কখনো আজেবাজে শর্ট খেলে বা কখনো রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হচ্ছে তার।
প্রথম ম্যাচে ঢাকার সাথে কিছুটা কনফিডেন্ট মনে হচ্ছিলো অ্যাশকে। নাইম শেখ তার স্কয়ার কাট করা বলটি যেভাবে ক্যাচ করেছিলেন সেটি ছিল অসাধারণ। তাই প্রথম ম্যাচের আউট নিয়ে খুব একটা কাটাছেড়া করছেন না আশরাফুল ভক্তরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন বলেই ভক্তদের প্রত্যাশার পারদে হাওয়া লেগেছিল সেদিন।
কিন্তু পরের ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে যে ভাবে রান আউট হলেন তাতে মনে হলো ক্রিকেট খেলার জন্য মানসিকভাবে খুব একটা প্রস্তুত নয় আশরাফুল। ভক্তরা হয়তো ভাবছেন সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতেই এমন আউট হতে হয়েছিল তাদের প্রিয় খেলোয়াড়কে। আসলেই কি তাই?
ব্যাট হাতে যখন আশরাফুল মাঠে নামছেন তখন যেন তিনি এক গোলক ধাঁধায় জড়িয়ে যাচ্ছেন। ব্যাপারটা এমন- তার কী করা উচিত আর কী করা উচিত না, সেটা তিনি বুঝতেই পারছেন না। এর সবচাইতে বড় প্রমাণ চট্টগ্রামের বিপক্ষে একটি বাজে শর্ট খেলে প্রতিপক্ষের হাতে নিজের উইকেটটি তুলে দিয়ে আসা। এর আগে মাঠে নেমেই একটি রান আউটের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন আশরাফুল। পরবর্তী ওভারে ফিল্ডারের হাতে মোসাদ্দেকের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন আবার। ওভার থ্রোতে চারটি রানও যোগ হয়েছে তার খাতায়। কিন্তু শিক্ষা নিতে পারেনি আশরাফুল। সেই ওভারেই আবার দায়সারা শর্ট খেলে আউট হন তিনি।
ফলে এই প্রশ্ন ঘুরে ফিরেই আসছে নার্ভাসনেস কিংবা শর্ট সিলেকশনের ব্যর্থতা নিয়ে কি আবারও জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাবেন আশরাফুল? এখন দেখার বিষয় টি–টোয়েন্টি কাপের বাকি ম্যাচগুলোয় এর কেমন জবাব দেন আশরাফুল।
Leave a reply