এমসি কলেজ হোস্টেলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে সাইফুর রহমানকে। অন্য আসামিরা হলেন- শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, মো. আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিজবাউল ইসলাম রাজন, মো. রবিউল হাসান ওরফে ইসলাম এবং মাহফুজুর রহমান মাসুম।
এছাড়া ৮ আসামির মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে অংশ নেয়া এবং বাকি ২ জনের বিরুদ্ধে সহায়তার উল্লেখ করেছেন তদন্ত-কর্মকর্তা। আসামিদের ৭ জন ছাত্রলীগের কর্মী।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আলামত সংগ্রহ, বাদি ও ভিকটিমসহ অন্যান্যদের সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়া হয়েছে। সেই সাথে বিচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে আসামিদের আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দি ও ডিএনএ প্রতিবেদন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ২৫ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ। অভিযুক্তরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই রাতেই স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন। পরে ১ ও ৩ অক্টোবর সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়।
বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে থাকাকালে আসামিদের মধ্যে সাইফুর, তারেক, রনি ও অর্জুন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। ধর্ষণে সহায়তার কথা স্বীকার করেন রবিউল ও মাহফুজুর।
Leave a reply