মুক্তিযুদ্ধে নৃশংস হত্যার শিকার চট্টগ্রামের রাউজানের শিক্ষানুরাগী নূতন চন্দ্র সিংহের ছেলে প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ মারা গেছেন। প্রফুল্ল রঞ্জন মানবতা বিরোধী অপরাধের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সাকা চৌধুরীর মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। একাত্তরে পিতৃহত্যায় অভিযুক্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ ঘাতকদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন তিনি।
পরিবার জানায়, ৮০ বছর বয়সী প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। নিয়মিত তাকে ডায়ালাইসিস করা হতো। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১৮ নভেম্বর তাকে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে।
শুক্রবার সকালে রাউজানের গহিরায় পারিবারিক শ্মশানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে রাজীব রঞ্জন সিংহ।
ষাটের দশকে প্রফুল্ল রঞ্জনের বাবা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহ নারী শিক্ষার প্রসারের জন্য দুটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নূতন সিংহের গড়ে তোলা সেই প্রতিষ্ঠানগুলো পুড়িয়ে দেয়। তাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পিতৃহত্যার জন্য ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দায়ী করেছিলেন প্রফুল্ল।
Leave a reply