গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের একটি কলার বাগান থেকে লিটন মিয়া (২৭) নামে এক চা-দোকানির গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিটনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার হিরকপাড়ার প্রফেসর স্কুলের পিছনের একটি কলার বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত লিটন মিয়া গোবিন্দগঞ্জের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ভাগদড়িযা গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। লিটন স্থানীয়ভাবে একটি চা দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো।
এদিকে, গলাকাটা লাশের খবর পেয়ে গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার সি-সার্কেল আসাদুজ্জামান, গোবিন্দগঞ্জ থানার (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান ও (ওসি, তদন্ত) আফজাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, সকাল ১১টার দিকে কলার বাগানে লিটনের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পড়নে জিন্স প্যান্ট ও জ্যাকেট ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে গলাকেটে হত্যার পর লাশ কলার বাগানে ফেলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত লিটনের পরিবারের পক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লিটনকে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতসহ তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে, লিটনকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজনের আহাজারি চলছে। ছেলের শোকে নিথর লিটনের বাবা আশরাফ আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দোকান করে লিটন আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে স্থানীয়দের কাছে গলাকাটা লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে লিটনের লাশ শনাক্ত করা হয়। তার অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে লিটনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে সর্ব্বোচ শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
ইউএইচ/
Leave a reply