বিশ্বের সবচাইতে বড় ক্রীড়াযজ্ঞের নাম অলিম্পিক। এই গেমসের আয়োজক দেশগুলো সব সময়ই প্রস্তুতির জন্য একটি লম্বা সময় নিয়ে থাকেন নিজেদের প্রস্তুত করতে। জাপানও সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করেছিলো এই গেমসকে ঘিরে কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের জুলাই মাসে অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও সেটিকে পিছিয়ে নেয়া হয়েছে ২০২১ সালের জুলাইয়ে। আর এই একবছর পেছানোর কারণেই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে জাপান।
১২৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম এই গেমস পেছানোর কারণে আয়োজক দেশ জাপানের ক্ষতি হচ্ছে ২.৮ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় হিসেব করলে ২৩ হাজার কোটি টাকার (২,৩৭,৪১,৫৯,৭৬,০০০) বেশি।
গেলো শুক্রবার অলিম্পিক কমিটির এক বৈঠকে জাপানের আয়োজকরা জানায়, এই বিশাল অঙ্কের অর্থের জোগান দিতে টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার ১২০ বিলিয়ন, আয়োজক কমিটি ১০৩ বিলিয়ন ও জাপানিজ সরকার দেবে ৭১ বিলিয়ন ইয়েন।
এর আগে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, করোনার কারণে টুর্নামেন্ট পেছানোয় যে বাড়তি খরচ, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার দেয়া হবে জাপানকে। এই ক্ষতিপূরণ অবশ্যই আয়োজক কমিটির ঘোষিত টাকার বাইরে।
২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকের প্রধান নির্বাহী তোশিরো মুতো বলেছেন, ‘টোকিওর খরচ পুরোটাই টোকিওর। অলিম্পিক থেকে পাওয়া রাজস্ব আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। এই রাজস্বের মধ্যে আমাদের পার্টনারদের কাছ থেকে পাওয়া স্পন্সরশিপ এবং ইনস্যুরেন্সের বিষয়টিও রয়েছে।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে টোকিও অলিম্পিকের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল ১২.৬ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি। এই অর্থের জোগান দিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি থেকে আলাদাভাবে বাড়তি স্পন্সরশিপের অনুমোদনও নিয়ে রেখেছিল টোকিও অলিম্পিকের আয়োজকরা।
Leave a reply