করোনা আতঙ্কে ডেনমার্কে লাখ লাখ মিঙ্ক মেরে ফেলায় কমে গেছে বেজি সদৃশ প্রাণীটির সরবরাহ। যোগান কম থাকায় বেড়েছে মিঙ্কের চামড়ার দাম। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বাজার ধরার চেষ্টা করছে চীনের খামারিরা। তাদের লক্ষ্য মিঙ্ক উৎপাদনে এক নম্বর হওয়া।
কদিন আগেও বেজি সদৃশ প্রাণী মিঙ্ক প্রজননে শীর্ষ দেশ ছিলো ডেনমার্ক। কিন্তু মহামারি আতঙ্ক পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। খামার থেকে করোনা সংক্রমণের পর মেরে ফেলা হয়েছে প্রায় দেড় কোটি মিঙ্ক। ডেনমার্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে হয়েছে মিঙ্ক নিধন।
কিন্তু কারো সর্বনাশ, কারও পৌষ মাষ বোধহয় একেই বলে। পশ্চিমে যখন নির্বিচারে মিঙ্ক নিধন চলছে তখন সুযোগ নিচ্ছেন চীনের খামারিরা। এতোদিন মিঙ্ক উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীন চাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিতে।
ডেনমার্কের এক খামারী জানান, সরবরাহ চেইনের কেন্দ্রে রয়েছে ডেনমার্ক। এটা বাঁধাগ্রস্ত হলে পুরো সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীনের কৃষকদের এই শিল্পে ফিরে আসার এটাই সুযোগ। মিঙ্ক প্রজনন বন্ধ করে দিয়েছিলেন এমন অনেকেই শুরু করেছেন আবার।
মিঙ্কের পশম আর চামড়া ব্যবহৃত হয় দামী পোশাক ও জুতোয়। এছাড়া, চীন-হংকংয়ে বেশ জনপ্রিয় পশম থেকে তৈরি চোখের কৃত্রিম আইল্যাশ।
চীনের প্রায় ৮ হাজার খামারে মিঙ্কের সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। আপাতত বিপুল সম্ভাবনা দেখলেও অবশ্য চাপা আতঙ্ক আছে অনেক চীনা ব্যবসায়ীর। যদি ডেনমার্কের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন কী হবে?
এদিকে প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলো বরাবরই বন্যপ্রাণী মিঙ্কের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রজননের বিরোধী। তাদের দাবি প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি, বাড়ে মানুষের মাঝে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি।
Leave a reply