ইয়াবা বাণিজ্যের সাথে টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়ে যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। প্রদীপের ইন্টারভিউ করতে চাওয়ায় সিনহাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় থানাতে বসে মেজর সিনহাসহ তার বন্ধুদের হত্যার ষড়যন্ত্র করেন প্রদীপ।
সিনহা রাশেদ হত্যা মামলার চার্জশিট নিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে করা এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেন, হত্যার পর ওই সময়ের পুলিশ সুপার যথাযথ দায়িত্ব পালন করে নাই। তাই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি জানান, ইউটিউবের কাজের জন্যই টেকনাফে যান মেজর সিনহা। কাজ করতে গিয়ে ওসি প্রদীপের অপরাধ সামাজ্য সম্পর্কে জেনে যান। ওসি প্রদীপের হুমকিতেও কাজ না হওয়ায় মেজর সিনহাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়। হত্যার পর নাটক সাজান প্রদীপরা। ওসি প্রদীপ মেজর সিনহা সম্পর্কে সব জেনে ঠাণ্ডা মাথায় খুনের ম্যাপ করে। এরপর ওসি প্রদীপ লিয়াকতসহ বাকি আসামিদের নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজান।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ নয় জনকে আসামি করে মামলা করেন তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।
Leave a reply