অবশেষে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দু’পক্ষের নেতারা বলছেন এর ফলে শুল্ক, বাণিজ্য নীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সমঝোতার পথ সহজ হবে।
২০১৬ সালে গণভোটে ইইউ থেকে বিচ্ছেদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। নানা নাটকীয়তার পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে চুক্তি হয় হয় ব্রিটেনে। তবে বাকি থেকে যায়, বাণিজ্য-সীমান্ত নির্ধারণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সমঝোতা।
অবশেষে, ঝুলে থাকা ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে ইইউ এবং যুক্তরাজ্য। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের সাথে ফোনালাপের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, ব্রেক্সিট পরবর্তী জটিলতা কাটাতেই এই উদ্যোগ।
তিনি জানান, বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের সাথে আলাপের পর মনে হয়েছে বিষয়গুলো আমরা আলোচনা করতে পারি। বিবদমান ইস্যুগুলো নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায়, ব্রেক্সিট পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো আটকে আছে দীর্ঘ সময় ধরে। দ্রুত এগুলোর সমাধান না হলে আমাদের পক্ষে সামনে এগুনো কঠিন।
দুই পক্ষের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নির্ধারণ করতে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। এরমধ্যে সমঝোতা হোক বা এই চুক্তি হোক বা না হোক আগামী ১লা জানুয়ারি দীর্ঘ ৪৫ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটবে। চুক্তি না হলে দুই পক্ষকেই একে অন্যের আরোপ করা শুল্ক দিতে হবে।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল জানান, ব্রেক্সিট হওয়া মানে ব্রিটেন ইউরোপের শত্রুতে পরিণত হবে তা নয়। যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় জোট দীর্ঘদিন একসাথে চলেছে। আমাদের নীতি, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এক। আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য মিল রয়েছে। ইউরোপ চায় ব্রিটেনের সাথে এই সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে। সেকারণেই বিবদমান ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনায় বসা প্রয়োজন।
এদিকে, দু’পক্ষে আলোচনা শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ব্রিটেনের সাধারণ নাগরিক। তারা বলছেন, বাণিজ্য এবং সীমান্তের মতো ইস্যুগুলো সমঝোতা না হলে চরম সংকটে পড়বেন তারা।
Leave a reply