বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টিতে এলিমিনেটর রাউন্ডে বরিশালকে বিদায় করে ফাইনালে খেলা আশা বাঁচিয়ে রেখেছে মুশফিকুর রহিমের ঢাকা। মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫০ রান তোলে ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪১ রানের বেশি তুলতে পারেনি বরিশালের ব্যাটসম্যানরা।
শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিলো ২০ রান কিন্তু মুক্তার আলীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পরে তামিম ইকবালের দল। মুশফিকদের দেয়া ১৫১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তামিমের ধীর গতির ব্যাটিং বেশ ভুগিয়েছে বরিশালকে। ২৮ বলে তামিম করেন মাত্র ২২ রান, যা টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাথে একেবারেই বেমানান। আরেক ওপেনার সাইফ হাসানও সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারেননি। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ ইমন আউট হয়েছেন মাত্র ২ রানে।
এরপরেই আফিফ ম্যাচে ফেরান বরিশালকে। ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন, কিন্তু সেই আশাকে পূর্ণতা দিতে পারেনি তার সহযোগী ব্যাটসম্যানরা। শেষ ওভারে মিরাজ ও মহিদুলকে নিজের শিকারে পরিণত করে করে দলকে জয় উপহার দেন মুক্তার আলী।
এই জয়ের ফলে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখলো ঢাকা। আর টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়লো বরিশাল। সন্ধ্যায় খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যেকার ম্যাচটিতে যারা হেরে যাবে তাদের বিপক্ষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর ফাইনালে ওঠার মিশনে নামবে মুশফিকরা।
এর আগে, সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে ভেঙ্গে পরে ঢাকার টপ ওয়ার্ডার। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাইম শেখ ও সাব্বির রহমান যখন প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন স্কোর বোর্ডে ঢাকার রান তখন মাত্র ৬। ওয়ান ডাউনে নামা আল আমিনকে শূন্য রানে ফেরত পাঠান তাসকিন।
এর পরেই ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ঢাকার ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিম। ৪টি চার আর একটি ৬ এর সাহায্যে ৩০ বলে ৪৩ রান করে কিছুটা হলেও সামলে দিয়ে যান শুরু ধকল। পরে ইয়াসির আলী ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন ১৫১ রানের লড়াকু পুঁজি। ঢাকার হয়ে আরেক ব্যাটসম্যান আকবর আলী করেন ২১ রান। জবাবে জয়ের জন্য ১৫১ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বরিশাল।
বরিশালের হয়ে মেহেদি হাসান ও কামরুল ইসলাম নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট। শুভ ও তাসকিন নিয়েছেন ১টি উইকেট।
Leave a reply