নির্বাচনের দেড় মাস পার হলেও পরাজয় স্বীকার করতে নারাজ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে. জনতার রায়ের পর ইলেক্টোরাল ভোটেও জো বাইডেনের বিজয় চূড়ান্ত হওয়ায় শেষ হয়ে গেছে তার সব আশা। বাস্তবতা উপলব্ধি করে তাই নতুন প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন ক্ষমতাসীন নেতারা।
মঙ্গলবার, নতুন প্রেসিডেন্টকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন কংগ্রেসের রিপাবলিকান-প্রধান মিচ ম্যাককনেল। জবাবে সবার সাথে সুসম্পর্ক রেখে কাজ করার কথা বলেন বাইডেন। যদিও হোয়াইট হাউস বলছে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইনি লড়াই অব্যাহত রাখবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মিচ ম্যাককনেল বলেন, “ইলেক্টোরাল কলেজের রায়ের পর সন্দেহের অবকাশ নেই। সিনেটে বাইডেন পরিচিত মুখ। তার জনসেবার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। দেশের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে হ্যারিসও জাতির গর্ব। মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও আন্তরিক অভিনন্দন তাদের প্রাপ্য।”
জো বাইডেন বলেন, “ম্যাককনেলের অভিনন্দন আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছি। অনেক বিষয়ে আমাদের মতপার্থক্য নিশ্চয়ই আছে। একইসাথে এমন অনেক বিষয়ও আছে, যেগুলোতে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার। তাই আজ হোক বা কাল, একসাথেই কাজ করবো আমরা।”
যদিও, বাইডেনের প্রতি ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতার আনুষ্ঠানিক এই স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে হোয়াইট হাউজ। জানিয়েছে, নির্বাচনে জালিয়াতি বিষয়ক আইনি লড়াই অব্যাহত রাখবেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যালে ম্যাকন্যানি বলেন, “ইলেক্টোরাল ভোট কেবল সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার একটি ধাপ। এর বিপরীতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো থেকে এখনও সরেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শেষ সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। তবে এখন পর্যন্ত মামলার বিষয়ে ট্রাম্প অনড়।”
ইলেক্টোরাল ভোটের পর, আইনি লড়াইকে অর্থহীন বলছেন বিশ্লেষকরা। খুব অস্বাভাবিক কিছু না ঘটলে ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বাইডেন।
Leave a reply